জয়নাল মিয়া দুই বছর ধরে পড়ালেখা করছে মানবিক শাখায়। এবারের দাখিল পরীক্ষায় তার প্রবেশপত্রও আসার কথা ছিল মানবিক শাখার, কিন্তু এসেছে বিজ্ঞান শাখার। মাদরাসা কর্তৃপক্ষের অবহেলায় তাই পরীক্ষায় অংশ নিতে পারছে না এই শিক্ষার্থী। তবে কর্তৃপক্ষের দাবি, আগে প্রিন্ট আউট কপি দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে। এই ভুল তাদের নয়।
জয়নাল মিয়া নান্দাইল উপজেলার চন্ডীপাশা ইউপির ঘোষপালা গ্রামের দিনমজুর সিরাজ মিয়ার ছেলে।
দিনমজুর সিরাজ মিয়া বলেন, ‘আমি গরিব-নিরক্ষর মানুষ। অন্যের বাড়িতে কাজ কইরা খাই। ছেড়াডার (ছেলেটার) ফরম কিলাপের (পূরণ) টেহাডাও (টাকা) জোগাড় করতে পারছি না, পরে আরেকজনে দিছে। অহন হুনতাছি (শুনছি) ছেড়াডা আমার পরীক্ষা দিত পারত না।’
জয়নাল মিয়ার ভাষ্য, গত বৃহস্পতিবার মাদরাসায় গেলে প্রবেশপত্র ও রেজিস্ট্রেশন কার্ড হাতে দেওয়ার আগে তার স্বাক্ষর নেন শিক্ষকরা। তারপর মানবিক শাখার স্থলে বিজ্ঞান শাখা দেখতে পায় সে। তাৎক্ষণিক শিক্ষকদের জানালে এখন তাদের কিছু করাই নেই বলে দাবি করেন।
জানতে চাইলে মাদরাসার অধ্যক্ষ আবুল হাসনাত মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, ‘আগে এসবের প্রিন্ট আউট কপি তাদের দেখানো হয়েছে। সব ঠিকঠাক থাকার পর স্বাক্ষরও নেওয়া হয়েছে। এখন এসব বিষয়ে প্রশ্ন তোলা কি ঠিক? দু-একটি বিষয় পরিবর্তন হলে করে দেওয়া যেত। তবুও চেষ্টা করে দেখি কিছু করা যায় কিনা।’
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোফাখখারুল ইসলাম বলেন, ‘এর দায়ভার মাদরাসার কর্তৃপক্ষকেই নিতে হবে। মাদরাসার সুপারের সঙ্গে কথা বলে দেখি কিছু করা যায় কিনা।’