নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় করা ধর্ষণ মামলায় হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামল এ পরোয়ানা জারি করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আবদুর রশিদ বলেন, আজ সাক্ষীদের জেরার দিন ধার্য ছিল। সাক্ষীরা এসেও ছিলেন। কিন্তু মামুনুল হক অনুপস্থিত থাকায় আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ার জারি করেছেন।
এর আগে গত ৪ এপ্রিল ধর্ষণ মামলায় মামুনুল হকের জামিন মঞ্জুর করেছিলেন আদালত। সেইসঙ্গে মামলাটির সাক্ষীদের জেরা চলমান ছিল। তারই অংশ হিসেবে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর এস এম শফিকুল ইসলামকে চতুর্থ দফায় জেরার দিন ধার্য ছিল আজ।
আসামিপক্ষের আইনজীবী একেএম ওমর ফারুক নয়ন বলেন, মামুনুল হক অসুস্থ। চিকিৎসক তাকে বিশ্রামে থাকার কথা বলেছেন। তাই আমরা আদালতে সময় আবেদন করেছিলাম। আদালত আমাদের আবেদন নামঞ্জুর করে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) রকিব উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আসামিপক্ষ ইচ্ছা করেই মামলাটির বিচার কার্যক্রম বিলম্বিত করার চেষ্টা করছেন। রায় তাদের বিপক্ষে যাবে এজন্য তারা দেরি করছেন। আজ সাক্ষীরা আদালতে উপস্থিত হয়েছিলেন। কিন্তু আসামি আসেননি। তাই আদালত মামুনুল হকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন।’
২০২১ খ্রিষ্টাব্দের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে অবস্থান করছিলেন মামুনুল হক। ওইসময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এসে তাকে ঘেরাও করেন। পরে স্থানীয় হেফাজতের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এসে রিসোর্টে ব্যাপক ভাঙচুর করেন এবং তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। ঘটনার পর থেকেই মামুনুল হক মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসায় অবস্থান করে আসছিলেন। এসময় তাকে নজরদারির মধ্যে রাখে পুলিশ।
এরপর ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে গ্রেফতার করা হয় মামুনুলকে। পরে এ ঘটনায় ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ মামলা করেন ওই নারী। তবে ওই নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে আসছেন মামুনুল হক।