মারধরের পর দুই কর্মীকে হল ছাড়া করার অভিযোগ উঠেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের একটি গ্রুপের নেতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে হল কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার (১৮ আগস্ট) সকালে তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সৈয়দ মুজতবা আলী হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. আবু সাঈদ আরফিন খাঁন।
তিনি বলেন, হল থেকে দুজন শিক্ষার্থীকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ পেয়েছি। এরইমধ্যে সৈকত রায় নামে এক শিক্ষার্থী লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। আমরা বিষয়টি উপাচার্যকে জানালে তিনি একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন। ঘটনা তদন্ত করে এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তদন্ত কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে আছেন সৈয়দ মুজতবা আলী হলের প্রভোস্ট ড. আবু সাঈদ আরফিন খাঁন। সদস্য হিসেবে আছেন ওই হলের সহকারী প্রভোস্ট মো. ওয়াসেক মিয়া এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর আবদুল্লাহ আল ইসলাম।
১৬ আগস্ট মধ্যরাতে ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে দুই কর্মীকে মারধরের পর সৈয়দ মুজতবা আলী হলের ৪২০ নম্বর কক্ষ থেকে বের করে দেন শাবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের একটি গ্রুপের নেতা ও ইংরেজি বিভাগ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম সীমান্ত। এ সময় সীমান্তের সঙ্গে ছিলেন ইংরেজি বিভাগের বাঁধন, ওমর ফারুক, রিফাত, নিজাম, লোকপ্রশাসন বিভাগের আসিফ, রাকিব, শিমুল, তারেক, নৃবিজ্ঞান বিভাগের অনু, পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের তামিম এবং সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের আসিফুর আসিফ।