ঘূর্ণিঝড় মিধিলির তাণ্ডবে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে লন্ডভন্ড একটি স্কুল। শিক্ষাবর্ষের শেষ সময়ে পরীক্ষার প্রস্তুতিতে শিক্ষার্থীদের নিয়ে খোলা আকাশের নিচে চলছে পাঠদান। বার্ষিক পরীক্ষা কার্যক্রম অনিশ্চিত। ক্ষতিগ্রস্ত আবদুল মালেক উকিল বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি ভবন নির্মাণের দাবি শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসীর।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) ছুটির দিন বিকেলে বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় মিধিলি। ঘরবাড়ি, গাছপালা, ফসলের ক্ষয়ক্ষতির বাহিরেও সেদিন নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার পশ্চিম চরজুবলী গ্রামের কোমলমতি শিক্ষার্থী এবং স্থানীয় এলাকাবাসী দেখলো প্রকৃতির আরেকটা ভয়াবহ রূপ। প্রবল ঝড়ো বাতাসে মুহূর্তেই লন্ডভন্ড হয়ে গেল একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে ছুটির দিন হওয়ায় পাঠদান বন্ধ থাকায় কোনো ধরনের হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
উপকূলীয় চরাঞ্চলে অবস্থিত বর্তমানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে দুই শতাধিকের উপরে শিক্ষার্থী রয়েছে। ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি প্রয়াত আবদুল মালেক উকিলের নামে নামকরণ করা হয়। তবে এতদিনেও জাতীয়করণ না হওয়ার দুঃখবোধের সঙ্গে এখন যুক্ত হলো ভবন হারানোর শূন্যতা। চলছে খোলা আকাশের নিচে অনিরাপদ পাঠদান।
বিদ্যালয়টির শিক্ষকরা জানান, ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আসন্ন পরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা নিয়ে উদ্বিগ্ন আছেন তারা। একই সঙ্গে ভবন নির্মাণ না হলে আগামী শিক্ষাবর্ষের কার্যক্রম শুরু করা নিয়ে শঙ্কার মধ্যেও আছেন শিক্ষকরা।
অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা জানায়, ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে পুরো স্কুলটি লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। কয়েক দিনের মধ্যে বার্ষিক পরীক্ষা। তাই এখন শিক্ষার্থীদেরকে খোলা আকাশের নিচে লেখাপড়া করতে হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আল আমিন সরকার ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন।
প্রকৃতির উপর কারো হাত নেই। তবে ক্ষতিগ্রস্ত আবদুল মালেক উকিল বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি পাকা ভবন নির্মাণ হবে। নিরাপদ ও ঝুঁকিমুক্ত হয়ে আবারও স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রমে ফিরে আসবে বিদ্যালয়টিতে এমনটাই প্রত্যাশা শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সকলের।