পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের সুবিদখালী সরকারি ডিগ্রি কলেজের উপাধ্যক্ষ ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রায় দুই সপ্তাহ যাবৎ অনুপস্থিত থাকায় কলেজের স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম ভেঙে পড়েছে।
এমন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) মাধ্যমে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের ডিজি বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
এ ঘটনার পর গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরেজমিনে কলেজ পরিদর্শন করেন।
জানা যায়, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পরে কলেজের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে গত ১৫ আগস্ট অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মো. আছাদুজ্জামানের কাছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে সাধারণ শিক্ষার্থীরা অনিয়মের বিষয় জানতে চান। গত ১৮ আগস্ট শিক্ষার্থীদের আসতে বললেও ২২ আগস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে ছুটিতে থাকেন অধ্যক্ষ।
গত ২৫ আগস্টও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অনুপস্থিত থাকায় কলেজের প্রভাষক (মার্কেটিং) বিভাগের সিনিয়র শিক্ষক রশিক লাল দাস ও কলেজের অন্য শিক্ষকদের উপস্থিতিতে অধ্যক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও কোনো কাজ হয়নি। এরপর থেকেই বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষের অনুপস্থিতিতে কলেজে মানবন্ধন, ক্লাস বর্জন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর স্মারকলিপিসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন।
গত ২৩ আগস্ট থেকে অন্য ২৭ আগস্ট পর্যন্ত অধ্যক্ষ কাউকে দায়িত্ব না দিয়ে অনুপস্থিত থাকায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা একাডেমিক ভবনে তালাবদ্ধ করে রাখেন। এ বিষয়ে কলেজ থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করা হলে তিনি গত মঙ্গলবার সুবিদখালী সরকারি ডিগ্রি কলেজ শিক্ষক মিলনায়তনে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে উপস্থিত সব শিক্ষক ও আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে এক জরুরি সভায় বসেন। সভায় শিক্ষকদের সম্মতিক্রমে বর্তমান অবস্থায় কলেজের একাডেমি এবং আর্থিক বিষয় অচলাবস্থা দূরীকরণের জন্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকে বিষয়টি জানানোর সিদ্ধান্ত হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, কলেজের শিক্ষকেরা এ বিষয়ে আমার কাছে লিখিতভাবে জানিয়েছেন। তা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠানো হবে। এ বিষযে শিক্ষা অধিদপ্তর ব্যবস্থা নেবে।