মিয়ানমারের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে শুক্রবার ভোরে সামরিক অভিযানে অন্তত তিন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন বলে শুক্রবার একটি ছাত্র ইউনিয়ন জানিয়েছে।
২০২১ খ্রিষ্টাব্দের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানে অং সান সু চির বেসামরিক সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটির জান্তা তার বিরোধীদের ওপর মারাত্মক সহিংসতা শুরু করেছে। অভ্যুত্থানবিরোধী ‘পিপলস ডিফেন্স ফোর্স’ মিলিশিয়া ও দীর্ঘদিন ধরে প্রতিষ্ঠিত জাতিগত বিদ্রোহী বাহিনীর প্রতিরোধের সম্মুখীন হচ্ছে জান্তা।
অল-বার্মা ফেডারেশন অব স্টুডেন্ট ইউনিয়নস একটি ফেসবুক পোস্টে বলেছে, শুক্রবার সাগাইং অঞ্চলের বুদালিন শহরে কর্মীরা অবস্থানরত একটি কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে শিক্ষার্থীদের হত্যা করা হয়েছে।
জান্তাবিরোধী প্রতিরোধের কেন্দ্রস্থল এ অঞ্চলটি সাম্প্রতিক মাসগুলোতে প্রচন্ড যুদ্ধ দেখেছে। ছাত্র ইউনিয়ন গত সপ্তাহে ব্যানার ও পতাকা নিয়ে জান্তার প্রতিবাদকারী ছাত্র আন্দোলনকারীদের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেছিল।
প্রতিশোধের ভয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন স্থানীয় গ্রামবাসী জানান, তিন শিক্ষার্থী কর্মী ছুরিকাঘাতে মারা গেছেন, যাদের বয়স আনুমানিক ২০। তিনি বলেন, ‘তারা তাদের বুকে ছুরি মেরেছে।
তারা তাদের জিভ কেটে ফেলেছে।’ এই ঘটনায় অন্তত পাঁচটি বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এবং অজ্ঞাত সংখ্যক লোককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এ ঘটনায় জান্তার তথ্য দলের কাছে মন্তব্য চেয়েছে এএফপি।
স্থানীয় পর্যবেক্ষক গোষ্ঠীর মতে, ভিন্নমতের বিরুদ্ধে জান্তার মারাত্মক দমন অভিযানে এখন পর্যন্ত তিন হাজার আট শয়েরও বেশি বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে।
অন্যদিকে শিক্ষকসহ প্রায় পাঁচ হাজার মানুষের মৃত্যুর সংখ্যা জানিয়েছে জান্তা।
সূত্র : এএফপি