দৈনিক শিক্ষাডটকম, নাটোর: নাটোরের নলডাঙ্গায় ফারহান জাহি হিমেল নামের এক স্কুলছাত্রকে খুন করে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে উপজেলার পিপরুল ইউনিয়নের একটি পরিত্যক্ত ভবন থেকে তার ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ওই রাতে হিমেলের দুই বন্ধুসহ চার কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ। মুক্তিপণ নেওয়ার পরিকল্পনা থেকেই হিমেলকে অপহরণ ও পরে খুন করা হয় বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে তারা।
আটকৃতরা হলো, উপজেলার হাপানিয়া গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে শরিফুল ইসলাম সুজন, পিপরুল গ্রামের প্রদীপ সাহার ছেলে সজল সাহা পার্থ, সরকুতিয়া তালতলা গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে শিমুল ইসলাম, পাটুল পূবপাড়া গ্রামের সুমন আলীর ছেলে মেহেদী হাসান।
নিহত হিমেল পিপরুল গ্রামের ওমর ফারুকের ছেলে। সে পাটুল হাপানিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে হিমেল বাড়ি থেকে বের হয়। ইফতারের পর থেকে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও পরিবারের লোকজন তার সন্ধান না পাওয়ায় থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ অভিযানে নেমে প্রথমে তার বন্ধু সুজনকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে সুজন হিমেলকে হত্যা করার বিষয়টি স্বীকার করে এবং লাশের সন্ধান দেয়। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী পুলিশ পিপরুল ইউনিয়ন পরিষদের পেছনের একটি পরিত্যক্ত ভবনে শুকনো ভুট্টাগাছ দিয়ে ঢাকা অবস্থায় হিমেলের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে। পরে পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত আরও তিনজনকে আটক করে।
নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনোরুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় নিহত স্কুলছাত্রের পিতা ওমর ফারুক বাদী হয়ে ৪ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ঘটনার দুই ঘণ্টা পর অভিযুক্ত চার আসামিকে আটক করে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে শুক্রবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে গতকাল বেলা ২টার দিকে নাটোর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সংবাদ সম্মেলন করেন। এ সময় নাটোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ টি এম মাইনুল বলেন, হিমেলকে অপহরণ করে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায়ের পরিকল্পনা ছিল তার বন্ধুদের। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকুসহ বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে।