ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় ৭১ হলের সামনে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি জায়গায় কোটা সংস্কার আন্দোলনে যুক্ত একদল শিক্ষার্থীর সঙ্গে কোটার পক্ষে থাকা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসময় দু’পক্ষের মধ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৭ জন আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন-বিজয় একাত্তর হল ছাত্রলীগের মুক্তিযুদ্ধ ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক সাফাত আল ইসলাম, হলের সহ-সভাপতি পারভেজ হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাপ্পী, মানবসম্পদ ও উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক পি আর হাসান সাকিব, ঢাবি ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান নিবির, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের উপ-অটিজম বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ারুল হোসেন দীপু, বঙ্গবন্ধু হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইমুম রেজা, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশীদ। আহতরা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
সোমবার বিকেল ৩টা থেকে মুখোমুখি অবস্থান নেয় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। এসময় দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলতে থাকে।
বর্তমানে বঙ্গবন্ধু হলের সাধারণ সম্পাদক শান্তর নেতৃত্বে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জসীম হলের মাঠের কোনায় অবস্থান নিয়েছে। কিছুক্ষণ পরপর এক পক্ষের শিক্ষার্থীরা অপরপক্ষকে ধাওয়া দিচ্ছেন।
এই সংঘাতের সূচনা হয়েছে বিজয় একাত্তর হলে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের প্রবেশ করা নিয়ে। তাঁদেরকে বাধা দেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে আশপাশের হলের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা একজোট হয়ে সংঘর্ষে যোগ দিয়েছেন৷
এছাড়া সরকারি চাকরিতে ‘মুক্তিযোদ্ধা কোটা’ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো আন্দোলন করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা কলেজ, ইডেন কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বক্তব্যের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এসে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করছেন।
সোমবার (১৫ জুলাই) বিকেল ৩টার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ স্থান প্রদক্ষিণ করে পুনরায় রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এক সমাবেশে মিলিত হওয়ার কথা রয়েছে।