আগামীকাল ১৭ এপ্রিল (সোমবার) ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সুদীর্ঘ ইতিহাসের এক চির ভাস্বর অবিস্মরণীয় এ দিনটি প্রতিবছরের মতো এবারো উদযাপন করা হবে। দিবসটি উদযাপনে এদিন সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আলোচনা সভা ও দোয়া-প্রার্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে হবে।
আগামীকাল সোমবার (১৭ এপ্রিল) সব স্কুল-কলেজে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উদযাপনে আলোচনা সভা ও দোয়া বা প্রার্থনা আয়োজনের নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর।
একইসঙ্গে মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিকেন্দ্র পুষ্পস্তবক অর্পণ ও জাতীয় পতাকা উত্তোলনে পুলিশ, বিজিবি, আনসার ও ভিডিপি, বিএনসিসি, স্কাউট, গার্লস গাইড এবং স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের গার্ড অব অনার কুচকওয়াজ প্রদর্শন করতে হবে। মেহেরপুর জেলার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
রোববার বিকেলে এসব নির্দেশনা দিয়ে আদেশ জারি করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সব সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষক এবং জেলা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
গত ১২ মার্চ মুক্তিযুদ্ধ বিষয় মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে ঐতিহাসিব মুজিবনগর দিবস উদযাপনে আয়োজিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। সভায়, ১৭ এপ্রিল (সোমবার) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নির্ধারিত সময়ে ‘ঐতিহাসিব মুজিবনগর দিবস এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা’ শীর্ষক এ আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ঐতিহাসিব মুজিবনগর দিবস উদযাপনে জাতীয় কর্মসূচিতে বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছিলো, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মুজিবনগর দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে ‘ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা’ শীর্ষক আলোচনা সভা, মোনাজাত বা প্রার্থনার আয়োজন করা হবে। ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর দিবসে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নির্ধারিত সময়ে এ আয়োজন করতে হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাড়, গণযোগাযোগ অধিদপ্তর, শিল্পকলা একাডেমি, সব জেলা প্রশাসক, ইউএনও এবং মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবে। একইসঙ্গে মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিকেন্দ্র পুষ্পস্তবক অর্পণ ও জাতীয় পতাকা উত্তোলনে পুলিশ, বিজিবি, আনসার ও ভিডিপি, বিএনসিসি, স্কাউট, গার্লস গাইড এবং স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের গার্ড অব অনার কুচকওয়াজ প্রদর্শন করতে হবে।
সভার এ সিদ্ধান্তের বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরকে গত ১২ এপ্রিল জানিয়েছিলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ। সে বিষয়ে রোববার আদেশ জারি করলো মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর।
রোববার অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক রূপক রায় স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়েছে, আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার কার্যবিবরণীর সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হলো।
১৭ এপ্রিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সুদীর্ঘ ইতিহাসের এক চির ভাস্বর অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৭১ এর এই দিনে কুষ্টিয়া জেলার তদানীন্তন মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে স্বাধীন-সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করে। প্রিয় স্বদেশ ভূমি থেকে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীকে বিতাড়িত করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘোষিত ও নির্দেশিত পথে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় অর্জনের লক্ষ্যে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ সরকার গঠন করা হয়। এ দিনটি মুজিবনগর দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয়।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।