বইমেলায় পাঠকদের বই কিনতে উৎসাহিত করছিলেন মুশতাক তিশা দম্পতি। হঠাৎ তাদেরকে দুয়োধ্বনি দিয়ে বইমেলা প্রাঙ্গণ থেকে বের হয়ে যেতে বাধ্য করলেন মেলায় আসা পাঠক-ক্রেতা-দর্শনার্থীরা। এ সময় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যগণ তাদেরকে নিরাপত্তা বেষ্টনি দিয়ে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট এর গেইট দিয়ে মেলা প্রাঙ্গণ থেকে বের হয়ে যেতে সাহায্য করে।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে ঘটে এ ঘটনা। এর আগে বিকেল ৩টা নাগাদ বইমেলার মিজান পাবলিশার্সে আসেন এ দম্পতি। তাদের দেখতে রীতিমতো ভিড় জমাচ্ছিলেন মেলায় আসা দর্শনার্থীদের অনেকে। সেখানে ছিল মুশতাক আহমেদের লেখা বই ‘তিশার ভালোবাসা’ ও 'তিশা অ্যান্ড মুশতাক'।
‘তিশার ভালোবাসা’ বইটি হাতে নিয়ে পাঠকদের বই কিনতে উৎসাহিত করছিলেন মুশতাক তিশা দম্পতি। হঠাৎ একদল দর্শনার্থী তাদেরকে দুয়োধ্বনি দিয়ে তাড়া করে। এ সময় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যগণ তাদেরকে নিরাপত্তা বেষ্টনি দিয়ে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট এর গেইট দিয়ে মেলা প্রাঙ্গণ থেকে বের হয়ে যেতে সাহায্য করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা এ ব্যাপারে বলেন, তারা আমাদের সমাজে লজ্জাজনক একটি সংস্কৃতিকে প্রতিষ্ঠা করছে। তার ওপর বই লিখে ব্যাপারটা ছড়িয়ে দিচ্ছে। এজন্যই সচেতন মানুষগণ তাদেরকে তিরস্কার করে তাড়িয়ে দিয়েছে।
মেলায় আসা এক দর্শনার্থী বলেন, বর্তমান সোশাল মিডিয়ার যুগে অনেক মানুষই ভাইরাল হচ্ছে। এক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, ভালো কাজ করে ভাইরাল হওয়ার তুলনায় নেতিবাচক কাজ করে ভাইরাল হওয়ার সংখ্যাই বেশি। নিজের মেয়ের বয়সী একটি মেয়েকে বিয়ে করার মাধ্যমে কী ধরনের ম্যাসেজ এ সমাজে তিনি দিলেন? তাই আমরা সাধারণ মানুষেরা মনে করি, এ ধরনের বইয়ের মাধ্যমে সমাজে নেতিবাচকতা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। মূলত এসব কারণেই তাদের প্রতি মানুষের এক ধরণের ক্ষোভ কাজ করছে। এবং আজকের এই ঘটনার মাধ্যমে তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটল।
সম্প্রতি রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদ একই কলেজের শিক্ষার্থী সিনথিয়া ইসলাম তিশাকে বিয়ে করে আলোচনায় আসেন। ভালোবেসে একে অপরকে বিয়ে করেন তারা। তাদের বিয়ের খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। যার ফলে সমালোচনার ঝড় ওঠে।