মেক্সিকোতে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় ১৮ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২০ জনেরও মানুষ। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এদিকে দুর্ঘটনার পর বাসচালককে আটক করেছে দেশটির পুলিশ।স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) পশ্চিম মেক্সিকোতে অতিরিক্ত গতির কারণে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়ক থেকে খাদে পড়ে যাওয়ার পর হতাহতের এই ঘটনা ঘটে। শুক্রবার (৪ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মেক্সিকোর পশ্চিমাঞ্চলে বৃহস্পতিবার ভোরে ৪২-সিটের যাত্রীবাহী বাস মহাসড়ক থেকে খাদে পড়ে গেলে কমপক্ষে ১৮ জন নিহত হন বলে প্রাদেশিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, দুর্ঘটনাকবলিত এলিট পরিবহনের বাসটিতে থাকা যাত্রীদের বেশিরভাগই ছিল বিদেশি এবং তাদের কেউ কেউ মার্কিন সীমান্তের দিকে যাচ্ছিলেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মেক্সিকোর উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্ত শহর টিজুয়ানা যাওয়ার পথে বৃহস্পতিবার দুর্ঘটনার মুখে পড়ে বাসটি। ভ্রমণের সময় বাসটিতে ভারত, ডোমিনিকান রিপাবলিক এবং আফ্রিকান দেশগুলোর নাগরিকসহ প্রায় ৪২ জন যাত্রী ছিল। মেক্সিকোর নয়ারিত প্রাদেশিক সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে, বাস চালককে আটক করা হয়েছে। বাস চালানোর সময় তিনি রাস্তার একটি বাঁকানো অংশে দ্রুত গতিতে বাঁক নিয়েছিলেন বলে সন্দেহ করছে কর্তৃপক্ষ।
কর্মকর্তারা বলেছেন, বৃহস্পতিবার দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের শনাক্ত করার জন্য এখনও কাজ করছেন তারা। এছাড়া আহতদের মধ্যে চিকিৎসার জন্য প্রায় ২০ জনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং তাদের মধ্যে এক নারীর অবস্থা ‘নাজুক’ বলে বর্ণনা করেছে প্রাদেশিক সরকার।
এলিট পরিবহনের এই বাসটি প্রাদেশিক রাজধানী টেপিকের বাইরে মহাসড়কের বাররাঙ্কা ব্লাঙ্কার কাছে দুর্ঘটনায় পড়ে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। নায়ারিতের নিরাপত্তা ও নাগরিক সুরক্ষা সেক্রেটারি জর্জ বেনিটো রদ্রিগেজ বলেছেন, যাত্রীদের উদ্ধার করা ‘অত্যন্ত কঠিন’ ছিল, কারণ যে গিরিখাতে বাসটি পড়ে যায় সেটি ভূমি থেকে প্রায় ৪০ মিটার (১৩১ ফুট) গভীর।
মেক্সিকোতে সড়ক দুর্ঘটনা এবং প্রাণহানির ঘটনা খুবই সাধারণ। গত মাসে মেক্সিকানের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য ওক্সাকাতে বাস দুর্ঘটনায় ২৯ জন নিহত হয়। এছাড়াও, এই বছরের এপ্রিলেও একটি পাহাড়ী রাস্তা থেকে একটি বাস ছিটকে পড়ে ১৮ জন মারা গিয়েছিল। এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সড়ক দুর্ঘটনায় দেশটিতে ১৭ জন নিহত হয়।