মেট্রোরেলের আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে সবুজ পতাকা উড়িয়ে এ অংশে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করেন সরকারপ্রধান। উদ্বোধনের পর ট্রেনে উঠে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত যান তিনি।
তবে উদ্বোধন হলেও সর্বসাধারণের জন্য মেট্টোরেল চলাচল করবে রোববার (৫ নভেম্বর) থেকে। প্রথমে তিনটি স্টেশনে যাত্রী ওঠানামা করবে। এই স্টেশনগুলো হলো- মতিঝিল, বাংলাদেশ সচিবালয় ও ফার্মগেট।
৩৩ হাজার ৪৭২ কোটি টাকায় নির্মাণাধীন ২১ দশমিক ২৬ কিলোমিটার দীর্ঘ উড়াল মেট্রোরেল লাইন নির্মাণ করা হয়েছে উত্তরার দিয়াবাড়ী থেকে কমলাপুর পর্যন্ত। গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর ১১ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার দীর্ঘ মেট্রোরেলের দিয়াবাড়ী-আগারগাঁও অংশে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দে জুনে মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত আরও ১ দশমিক ১৬ কিলোমিটার অংশে এই ট্রেন চালু হতে পারে।
উত্তরার দিয়াবাড়ী স্টেশন থেকে মতিঝিল যেতে সময় লাগবে ৩১ মিনিট। ভাড়া লাগবে ১০০ টাকা। আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের পথে ছয়টি স্টেশন থাকলেও প্রথম দিকে ফার্মগেট, সচিবালয়ে ট্রেন থামবে। পর্যায়ক্রমে চালু হবে বিজয় সরণি, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, টিএসসি স্টেশন। প্রথম দিকে ট্রেন চলত সকাল ৮টা থেকে ৪ ঘণ্টা। বর্তমানে চলছে সকাল সাড়ে ৭টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত। আগারগাঁও-মতিঝিল অংশে প্রথম দিকে সকাল সাড়ে ৭টা থেকে সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ট্রেন চলবে ১০ মিনিট অন্তর। অর্থাৎ ওই সময়ের ট্রেন দিয়াবাড়ী থেকে মতিঝিল যাবে। দিনের বাকি সময় আগারগাঁও পর্যন্ত ট্রেন চলবে।
আগারগাঁও-মতিঝিল মেট্রোরেলের উদ্বোধন ও নামফলক উন্মোচন শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরামবাগে আওয়ামী লীগ আয়োজিত ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশে যোগ দেবেন। মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ব্যানারে আয়োজিত এ সমাবেশকে ঘিরে ব্যাপক শোডাউন দেবেন ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা। ঢাকা ছাড়াও পার্শ্ববর্তী জেলাগুলো থেকে লাখ লাখ কর্মী-সমর্থক সমাবেশে যোগ দেবে বলে নেতারা জানিয়েছেন।
সমাবেশ আয়োজনে আরামবাগে তৈরি করা হয়েছে বিশাল মঞ্চ। এ নিয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, সমাবেশে ১০ লাখ লোক জমায়েত করতেই হবে।