মুক্তিযোদ্ধা কোটা বিরোধী আন্দোলনের সহিংসতায় গত ১৯ জুলাই মেট্রোরেলের মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয় স্টেশন দুটি। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সম্ভাব্য আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫০০ কোটি টাকা। প্রকৃত ক্ষতি নিরূপণে আট সদস্যদের একটি কমিটি গঠন করেছে ডিএমটিসিএল। কমিটির প্রধান ডিএমটিসিএলের অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক ও যুগ্মসচিব মো. জাকারিয়া জানান, কমিটির হাতে ১০ দিন সময় আছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে চেষ্টা চলছে।
মেট্রোরেল সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, মিরপুর-১০ স্টেশনের ই-সিস্টেমের পুরোটাই ধ্বংস হয়ে গেছে। এটি পুনরায় সচল করতে প্রায় ২৫০ কোটি টাকা লাগতে পারে। অন্যদিকে কাজীপাড়া স্টেশনের ই-সিস্টেম অর্ধেকের বেশি নষ্ট হয়েছে। এটি ঠিক হতেও প্রায় ১০০ কোটি টাকা ব্যয় হবে। এছাড়াও স্টেশন দুটির পাঞ্চ মেশিন, ভেন্ডিং মেশিন, বিভিন্ন ডিভাইস, কম্পিউটারসহ অন্যান্য জিনিসপত্রের ক্ষয়ক্ষতি মেরামতে প্রায় ২০০ কোটি টাকা লেগে যেতে পারে।
এদিকে হামলার পর রাজধানীতে গত পাঁচ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে মেট্রোরেল চলাচল। কবে নাগাদ ফের চালু হবে সেই দিনক্ষণ না বললেও দ্রুতই চলাচল স্বাভাবিক হবে বলে আশা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড।
বৃহস্পতিবার ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক জানান, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে স্টেশন দুটির। মেট্রোরেল কবে চালু হবে সেটা সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে জানানো হবে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সকালে ক্ষতিগ্রস্ত মেট্রোরেলের স্টেশন পরিদর্শন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।