প্রতিবছর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন লক্ষাধিক শিক্ষার্থী। কিন্তু ভর্তির সুযোগ পান মাত্র কয়েক হাজার। সাদা অ্যাপ্রোণ আর স্টেথোস্কোপের স্বপ্ন যারা দেখেন, যারা নিজের জীবন উৎসর্গ করতে চান মানবসেবায়, তাদের জন্য দিকনির্দেশনামূলক কিছু কথা-
পরীক্ষার প্রস্তুতি : ১. মূল বইয়ের কোনো বিকল্প নেই। মূল বইটি ভালোভাবে শেষ করতে হবে এবং বারবার রিভিশন করতে হবে। খুব ভালো করে আত্মস্থ করতে হবে বায়োলজির প্রতিটি বই। রসায়ন প্রশ্নের উত্তর দিতে একটু কৌশলী হতে হবে। ধ্রুবকের মানগুলো খুব ভালো করে মুখস্থ করতে হবে। বড় ম্যাথ খুব একটা আসে না। ছোট ছোট ম্যাথ যেগুলো ১ মিনিটেই করা যায়, সেসব ম্যাথ প্র্যাকটিস করতে হবে।
পরীক্ষার ঠিক আগমুহূর্তে এবং পরীক্ষার দিন : ১. এক ঘণ্টার পরীক্ষায় ১০০টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। তাই টাইম ম্যানেজমেন্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে অনেকের অনেক ধরনের স্টাইল থাকে। যেমন: কেউ প্রথমে ১ থেকে ১০০ পর্যন্ত যতগুলোর উত্তর নিশ্চিত, সেগুলো একবারে দাগিয়ে ফেলেন। এরপর বাকি সময়ে ম্যাথ/চিন্তা করতে হয়-এমন প্রশ্নগুলোর উত্তর দেন।
২. খুব সাধারণ একটা ভুল অনেকেই করে থাকেন এবং আমিও করেছিলাম-উত্তরপত্র দাগানোর সময় একটার বৃত্ত অন্যটায় ভরাট করে ফেলা। এক্ষেত্রে চেষ্টা করতে হবে এ ভুলটি না করতে। একটি ভুল করলে সেই সিরিয়ালে একের পর এক ভুল হতেই থাকে। এদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। যদি ভুল হয়েও যায়, তাহলে ব্যাপারটা মাথা থেকে একদম ঝেড়ে ফেলে পরবর্তী উত্তর ঠিকমতো দিতে হবে। মনে রাখতে হবে, একটি ভুলের প্রভাব যেন পুরো পরীক্ষায় না পড়ে।সবশেষে সবার জন্য রইল শুভ কামনা।
লেখক: সায়মা আহমেদ স্বর্ণা, মেডিক্যাল শিক্ষার্থী