দৈনিক শিক্ষাডটকম, নড়াইল : নড়াইলের মেধাবী শিক্ষার্থী এ এম রাকিবুল ইসলাম স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। ভর্তির সুযোগ পাওয়ায় তার পরিবারে আনন্দের বন্যা বইছে। তবে তার পড়ালেখা চালানোর খরচ নিয়ে দুশ্চিন্তার যেন শেষ নেই। মেডিক্যালে ভর্তির জন্য যে টাকা থাকা দরকার সেই টাকা তাদের কাছে নেই। তারপর রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে লেখাপড়া, থাকা-খাওয়া ও আনুষঙ্গিক ব্যয়ের হিসাব। এসব খরচের হিসাব পরিবারটিকে চরম দুশ্চিন্তায় ফেলেছে।
জানা যায়, অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের সন্তান রাকিবুল। সে নড়াইল সদর উপজেলার মধুরগাতী গ্রামের হতদরিদ্র কৃষক আমজার হোসেন আকুঞ্জীর ছেলে। তার মাতা জাকিরোন নেছা গৃহিণী। রাকিবুলের বাবা কৃষি কাজ করেন। অন্যের ক্ষেতে দিনমজুরির টাকায় তাকে পড়াচ্ছেন দরিদ্র বাবা আমজার হোসেন।
তার বাবা আমজার হোসেন বলেন, দুর্মূল্যের বাজারে কোনোভাবেই যেন সংসারের চাকা ঘুরছে না। এতকাল এলাকায় পড়েছে। কম টাকা খরচ হয়েছে। এবার ভর্তি, পোশাক, থাকা-খাওয়া, মাসের বেতন সহ অনেক টাকা খরচ হবে। এই টাকা কোথা থেকে কীভাবে জোগাড় হবে? তার মাতা জাকিরোন নেছা বলেন, ছেলে ডাক্তার হবে। এটা তার ছোটবেলা থেকেই শখ। আমরাও তাই চাই। কিন্তু তাকে পড়ানোর মতো কোনো টাকা তো নাই। তার ভাগ্যে কী আছে, আল্লাহ ভালো জানেন। রাকিবুল ইসলাম জানান, বাবার এত আয় নেই। পরিবারে টানাপড়েন লেগেই থাকে। অর্থাভাবে ভর্তি হতে পারে কিনা দুশ্চিন্তায় আছি। রাকিবুলের চাচা কলেজ শিক্ষক আব্বাস আলী আকুঞ্জী বলেন, রাকিবুল তার বাবার সঙ্গে কৃষিকাজ করার পাশাপাশি পড়াশুনা করেছে। বেশির ভাগ দিন ফসলি মাঠেই নামাজ পড়েছে। ঠিকমতো পড়ার খরচ পায়নি, খেতে পায়নি। মেডিক্যালে চান্স পেয়েছে। কোনো সহৃদয়বান ব্যক্তির সহযোগিতায় কোনোভাবে যদি পড়া শেষ করতে পারে তাহলে হয়তো পরিবারটি সুখের মুখ দেখতে পারবে।