প্রথম থেকে ১২ তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের সনদ হলো প্রাক-যোগ্যতা নির্ধারনী। ওই সনদ থাকা মানে শিক্ষক পদে চাকরি দিতে বাধ্য নয় এনটিআরসিএ অথবা সরকার। এটাই আইনের কথা। কিন্তু জোবায়দুল, সিদ্দিকউল্লাহ-আজহার-নিলীমা-জমির-খমিরসহ অনেকেই ১ থেকে ১২তম নিবন্ধনধারী। তাদের ওই সনদগুলো এখন হুদাই। তাদের বয়স ৪০ থেকে ৫০। তবু তারা রিটের দালালী করে কোটি কোটি টাকা কামাচ্ছে। মেধা নয় রিট করেই তারা শিক্ষক হবেন এমন একটা ভাব দেখায় ফেসবুক গ্রুপে ও ইউটিউবে। রিট দালালরা কখনো অফিসের ভেতরে ঢুকে গোপনে পা ধরছেন কর্মকর্তাদের। আবার কখনো প্রকাশ্যে, রাজপথে পা ধরছেন। হাউমাউ করে কান্না করছেন। কখনো গালি দিচ্ছেন। কখনও কর্মকর্তাদের হুমকি দিচ্ছেন। আবার কখনো মানববন্ধন, কখনো সংবাদ সম্মেলন ও কখনো কথিত অনশন করছেন। আর এসব অপকর্মে সহযোগীতা করছেন কেন্দ্র ঢাকা ও জেলায় জেলায় রিট দালাল, ডলিরকম্পাসসহ কিছু ভুইফোঁড় অনলাইন নিউজ পোর্টাল, কয়েকটি টিভির ক্যামেরাম্যান, ইউটিউবার, ফেসবুক গ্রুপের এডমিন ও কিছু নামধারী সাংবাদিক। এভাবে তারা সাধারণ মানুষকে ধারণা দিয়ে আসছেন যে, আন্দোলনকারীরা খুবই যোগ্য ও প্রাপ্য কিন্তু সরকার ও এনটিআরসিএ তাদেরকে বঞ্চিত করছে। এই চক্রটি সাবেক কয়েকজন সাবেক সচিব ও প্রবীন শিক্ষাবিদের সহানুভুতি পাওয়ার জন্য তাদের কাছে গিয়েও ভুল তথ্য দিচ্ছে। তাদের কেউ কেউ ফাঁদে পা দিয়েছেন ও দিচ্ছেন। হুদাই টকশোতে রিট দালালদের পক্ষে কথা বলছেন।
এনটিআরসিএস সনদ দুই রকম। একটা ১ থেকে ১২তম পরীক্ষায় পাওয়া। যেটা চাকরির নিশ্চয়তা নিশ্চিত করে না। আর দ্বিতীয়টি হলো ১৩তম থেকে সর্বশেষ ১৭তম। শেষোক্ত পরীক্ষাগুলোর সনদধারীদের বয়স ও সনদের মেয়াদ থাকা সাপেক্ষে শিক্ষক পদে নিয়োগের সুপারিশ করার দায়িত্ব এনটিআরসিএর। কিন্তু রিট ব্যবসায়ীরা, নিলিমা-ওবায়দ-আজহার-সিদ্দিকউল্লাহরা চিৎকার করে বলছে সনদধারী মানেই চাকরি দিতে বাধ্য। আসুন আমাদের খোয়াড়ে ঢুকুন টাকা ঢালুন, রাজপথে চিৎকার করুন, ভিডিও করুন ব্যস। আপনাদেরকে চাকরি দিতে বাধ্য করবো এনটিআরসিএকে! যত বেশি চিৎকার তত বেশি মোয়াক্কেল, তত বেশি টাকা, তত বেশি মেয়াদীউত্তীর্ণরা মানববন্ধনে!
আশার কথা মেয়াদোত্তীর্ণ নিবন্ধন সনদধারীদের নিয়ে রিট, মানববন্ধন ও ভিডিও ব্যবসা বন্ধে এবার কার্যকর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ১৫ জুলাই থেকে এর বাস্তবায়ন দেখা যাবে। আজ কড়া ঘোষণা হতে পারে।