মোবাইল ফোনের ডেটা ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, মেসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যাপে ঢোকা যাচ্ছে না। আজ রোববার বেলা ১টার পর থেকেই এই সমস্যায় পড়েছেন ব্যবহারকারীরা।
সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে অসহযোগ আন্দোলন কর্মসূচির মধ্যে এদিন শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মুন্সিগঞ্জে সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন দুইজন। এ ছাড়া রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে গাড়িতে আগুন, ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। সব মিলিয়ে আহত হয়েছেন অনেকে।
এ অবস্থায় মোবাইল ডেটায় ওইসব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ হয়ে গেছে। অনেক ব্যবহারকারী এ তথ্য জানালেও এ নিয়ে এখনো কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে মোবাইল নেটওয়ার্ক ডাউন করে দেয়া হয় বলে মোবাইল অপারেটর কোম্পানিগুলো গণমাধ্যকে নিশ্চিত করেছে।
কোটা সংষ্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার মধ্যে এর আগে গত মাসেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিয়ে এমন অবস্থা হয়েছিলো। গত ২ আগস্ট দ্বিতীয় দফায় বন্ধ হয় এই মাধ্যমগুলো। আর রোববার তৃতীয় দফায় বন্ধ হয়েছে এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো।
গত পহেলা জুলাই থেকে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতা শুরু হলে ১৭ জুলাই রাত থেকে ৩১ জুলাই দুপুর পর্যন্ত মেটার প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম বন্ধ ছিলো। পরে গত ৩১ জুলাই বেলা ২টার পর থেকে তা চালু হয়।
১৭ জুলাই রাত থেকে মোবাইল ইন্টারনেট এবং ১৮ জুলাই রাতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যায়। পাঁচ দিন পর ২৩ জুলাই ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ সীমিত পরিসরে ফেরে। ১০ দিন পর ২৮ জুলাই মোবাইল ইন্টারনেট চালু হয়। কিন্তু বন্ধ ছিলো মেটার প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইনস্টাগ্রাম। এ ছাড়া টিকটকও বন্ধ রাখা হয়। অন্যদিকে ব্রডব্যান্ড সংযোগে ইউটিউব চালু থাকলেও মোবাইল ডেটায় তা বন্ধ ছিলো।