দৈনিক শিক্ষাডটকম, পূর্বধলা (নেত্রকোনা) : নেত্রকোণার পূর্বধলায় আলোর স্বল্পতায় মোমবাতি জ্বালিয়ে এসএসসি পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে পূর্বধলা জগৎমণি সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের অধীনে থাকা পূর্বধলা সরকারি কলেজ ভেন্যুকেন্দ্রে ইংরেজী দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। পূর্বধলা সরকারি কলেজের শ্রেণিকক্ষের অব্যবস্থাপনার কারণে এমনটি হয়েছে বলে দাবি পরীক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্তদের।
পূর্বধলা জগৎমণি সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের অধীনে মোট ১ হাজার ৫১০ জন পরীক্ষার্থী চলমান এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে। তার মধ্যে পূর্বধলা সরকারি কলেজ ভেন্যুতে ১১টি কক্ষে ৬৩৫জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছেন।
কেন্দ্রসংশ্লিষ্টরা বলছেন, বৃহস্পতিবার সকালে ইংরেজী দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা চলাকালে আকাশ মেঘলা থাকায় আলোর স্বল্পতা দেখা দেয়। এতে পূর্বধলা সরকারি কলেজ ভেন্যুর ৭টি কক্ষে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা না থাকায় কক্ষগুলোতে আলোর স্বল্পতা দেখা দেয়। তাছাড়া কক্ষের কয়েকটি দরজা পেরেক দিয়ে আটকানো থাকায় খোলাও যাচ্ছিলোনা। ফলে আলোর স্বল্পতায় পরীক্ষার্থীদের লিখতে সমস্যা হচ্ছিলো। এ বিষয়টি কক্ষ প্রত্যবেক্ষকের মাধ্যমে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের জানানো হলে তারা দ্রুতগতিতে আলোর ব্যবস্থা করার চেষ্টা করেন। শ্রেণি কক্ষগুলোতে বৈদ্যুতিক লাইন থাকলেও বৈদ্যুতিক বাতি লাগানোর কোনো ব্যবস্থা না থাকায় বিকল্প উপায় হিসেবে মোমবাতি জ্বালিয়ে পরীক্ষা নেয়ার ব্যবস্থা করা হয়। এরই মধ্যে প্রবল বৃষ্টি শুরু হলে জানালা বন্ধ করে দিতে হয়। পরে প্রতি বেঞ্চে একটি করে মোমবাতি জ্বালিয়ে নেয়া হয় পরীক্ষা। কয়েকজন পরীক্ষার্থীর অভিযোগ করেন, শুধুর আলোর স্বল্পতাই নয়, কয়েকটি বেঞ্চে ছাদ থেকে বৃষ্টির পানি পড়েছে।
পরীক্ষার্থী অন্তরা, রোকসানাসহ অনেকেই দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, আলোর স্বল্পতা ও বৃষ্টির কারণে কিছুক্ষণ আমাদের কিছটা সমস্যা হলেও পরে তা সমাধান হয়েছে।
জানা গেছে, পরবর্তীতে যেনো এমনটি না হয় সেজন্য পরীক্ষা কক্ষে বৈদ্যুতিক বাতির ব্যবস্থা করতে কলেজ কর্তপক্ষকে নির্দেশনা দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. খবিরুল আহসান।
পূর্বধলা জগৎমণি সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের হল সুপার নূরে আলম সিদ্দিকী মামুন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, মূলত পূর্বধলা সরকারি কলেজের শ্রেণি কক্ষগুলোতে বৈদ্যুতিক বাতি জ্বালানোর ব্যবস্থা না থাকায় কিছুটা সমস্যা হলেও তৎক্ষণিক মোমবাতি জ্বালিয়ে সমস্যা দূর করা হয়েছে।
এদিকে পূর্বধলা সরকারি কলেজ ভেন্যুর ঘন্টাটির শব্দ কম হওয়ায় তা শুনতে অসুবিধা হচ্ছিলো বলেও অভিযোগ করেন পরীক্ষার্থীরা। এ বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: খবিরুল আহসানকে জানানো হলে তিনি নতুন বড় ঘণ্টার ব্যবস্থা করে এ সমস্যা দূর করেন।