যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ৮৩ কোটি ৫২ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) থেকে ৭৯ কোটি ১৭ লাখ টাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব খাত থেকে ৪ কোটি ৩৫ লাখ টাকা আয় ধরা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে যবিপ্রবির প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে যবিপ্রবির সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম রিজেন্ট বোর্ডের ৯২তম বিশেষ সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষের পদ শূন্য থাকায় পরিচালক (হিসাব) মো. জাকির হোসেন এ বাজেট উত্থাপন করেন। বাজেট উত্থাপন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন খাতে বরাদ্দের বিষয়ে রিজেন্ট বোর্ডের সদস্যরা তাদের মতামত ও সুপারিশ দেন। পরবর্তীতে তা রিজেন্ট বোর্ডের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদিত হয়। রিজেন্ট বোর্ডের সদস্যদের অনেকে ভার্চুয়ালি এবং অনেকে সশরীরে অংশ নেন।
গত অর্থ বছরে ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা ঘাটতিসহ ৮৫ কোটি ২০ লাখ টাকা বাজেট প্রস্তাব করা হয়। তবে বৈশ্বিক মন্দা, আর্থিক কৃচ্ছ্বতা সাধনের কারণে বিভিন্ন খাত থেকে ব্যয় কমানোয় রিজেন্ট বোর্ডের সভায় ২০২২-২৩ অর্থ বছরে ৮২ কোটি ৯৫ লাখ টাকার সংশোধিত বাজেট অনুমোদন করা হয়। এবারের ঘোষিত বাজেটে কোনো ঘাটতি রাখা হয়নি।
যবিপ্রবির পরিচালক (হিসাব) মো. জাকির হোসেন বাজেট বক্তব্যে বলেন, ২০০৮-০৯ অর্থ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বাজেটের আকার ১ কোটি ২৩ লাখ টাকা ছিল। সেখান থেকে পর্যায়ক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিধি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাজেট বৃদ্ধি পেয়ে এখন ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দাঁড়িয়েছে ৮৩ কোটি ৫২ লাখ টাকা। তিনি বলেন, ২০২২-২৩ অর্থ বছরে সংশোধিত গবেষণা অনুদানে (নিয়মিত ও বিশেষ) দুই কোটি ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ থাকলেও এবারের বাজেটে সেটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিন কোটি ৬০ লাখ টাকা।
বাজেট অনুমোদন শেষে যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, বৈশ্বিক মন্দার কারণে বিভিন্ন খাতে সরকারকে কৃচ্ছ্বতা সাধন করতে হয়েছে। তারপরেও যবিপ্রবি শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণারগারগুলো আরো আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। আমার বিশ্বাস, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত বাজেটের অর্থ যথাযথ ব্যবহারে আরো সচেষ্ট হবেন।
যবিপ্রবির উপাচার্য ও রিজেন্ট বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন যশোর-৩ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও রিজেন্ট বোর্ডের সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ববিদ্যালয়) মো. আবু ইউসুফ মিয়া, যুগ্ম সচিব (কলেজ অধিশাখা-১) সৈয়দা নওয়ারা জাহান, সাভারের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজির মহাপরিচালক ড. মো. সলিমুল্লাহ, যশোরের আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. কাওছার উদ্দিন আহম্মদ, বাংলাদেশ অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিলের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. গোলাম শাহী আলম, ইউজিসি অধ্যাপক ড. শরীফ এনামুল কবির, ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিউটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. এম. এ. রশীদ, যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহসান হাবীব, যবিপ্রবির অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল কবীর জাহিদ, কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গালিব, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মেহেদী হাসান, সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মর্জিনা আক্তার, রিজেন্ট বোর্ডের সচিব ও যবিপ্রবির রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীবসহ অনেকে।