এ বছর যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় বসছে ১ লাখ ৫৮ হাজার ২০২ জন পরীক্ষার্থী। গতবারের তুলনায় এ বছর মোট পরীক্ষার্থী কমেছে প্রায় ১৪ হাজার। গত দুই বার পাসের হার বেশি হওয়ায় এ বছর অনিয়মিত পরীক্ষার্থী অনেক কমেছে। আর অনিয়মিত পরীক্ষার্থী কমার কারণেই মূলত এ বছর মোট পরীক্ষার্থী কমেছে বলে মনে করছেন বোর্ড সংশ্লিষ্টরা।
আগামী ৩০ এপ্রিল অনুষ্ঠিতব্য এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা সারাদেশে একযোগে অনুষ্ঠিত হবে। সারাদেশের ন্যায় যশোর বোর্ডে পরীক্ষায় বসছে ১ লাখ ৫৮ হাজার ২০২ পরীক্ষার্থী। গতবছর যশোর বোর্ডে মোট ১ লাখ ৭২ হাজার ৮৩ জন পরীক্ষার্থী ছিলো। গতবারের তুলনায় এ বছর মোট পরীক্ষার্থী কমেছে প্রায় ১৪ হাজার। এ বছর অংশ নেওয়া পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্র ৭৮ হাজার ৭৩১ জন এবং ছাত্রী ৭৯ হাজার ৪৭১ জন। মানবিকে অংশ নিচ্ছে ১ লাখ ৮২৪ জন ও বিজ্ঞান বিভাগে ৩৯ হাজার ৪৪৪ জন। খুলনা বিভাগের ১০ জেলার ২ হাজার ৫১২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার্থীরা এ পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। ২৯২টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বোর্ডের তথ্য অনুসারে আশঙ্কাজনক হারে কমছে বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শাখার পরীক্ষার্থী।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড যশোরের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. আহসান হাবিব বলেন, ‘গত বছর যশোর বোর্ডে এসএসসিতে দেশের সেরা রেজাল্ট করেছিলো। এর আগের বছরে করোনার কারণে অটোপাশ থাকায় কোনো ফেলের শিক্ষার্থী ছিলো না। যশোর বোর্ডে যেখানে অকৃতকার্য পরীক্ষার্থী থাকে ১৫ হাজারের বেশি; সেখানে এবার মাত্র ৭৭৪ জন। সবমিলিয়ে বলা যায়, অনিয়মিত পরীক্ষার্থী কমার কারণেই মূলত এ বছর মোট পরীক্ষার্থী কমেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পরীক্ষা সম্পন্নে বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্র সচিবদের সঙ্গে একাধিকবার মিটিং করেছি। গতবার একাধিক কেন্দ্রে এক বিষয়ের প্রশ্ন অন্য বিষয়ের প্রশ্ন দিয়ে দেওয়া সেটার বিষয়ে গভীরভাবে সর্তক রয়েছি। পরীক্ষা পরিচালনায় শিক্ষা বোর্ডের নিজস্ব টিম ছাড়াও ১০ জেলায় ১১ ভিজিলেন্স টিম গঠন করা হয়েছে। এই টিমে সদস্য করা হয়েছে মাধ্যমিক ও কলেজশিক্ষকদের। এ ছাড়াও উপজেলা প্রশাসনের ভিজিলেন্স টিম থাকবে।’