জাতে তিনি ফরাসি। কিন্তু গায়ে বইছে আফ্রিকান রক্ত। বাবা নাইজেরিয়ান, মা আলজেরিয়ান। ফ্রান্সের জাতীয় হ্যান্ডবল দলের সদস্য। ২৪ বছরের এমবাপ্পে তার দত্তক নেয়া দাদাকে দেখেই ফুটবলে আসে। ভাইও ফুটবলার। প্যারিস মাজায় খেলে। রোববার রাতে এমবাপ্পের দিকে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে নজর থাকবে গোটা বিশ্বের। অসাধারণ ফিজিক্যাল ফিটনেস আর ড্রিবলিংয়ের ক্ষমতা এমবাপ্পেকে অসাধারণ করে তুলেছে। মেসি, রোনালদোর উত্তরসূরী যে কিলিয়ান এমবাপ্পে তা বলছেন তাবড় ফুটবল বিশেষজ্ঞরা।
কিন্তু, জানেন কি বাংলাদেশি কিংবা ভারতীয়দের মতোই দিনে রাতে ভাত খেতে ভালোবাসেন এমবাপ্পে। লা একুইপ পত্রিকা এমবাপ্পের খাদ্যতালিকা ছেপেছে। সেখানেই এই তথ্য দেখা যাচ্ছে। অনেক বড় ফুটবলারের মতো এমবাপ্পে এখনও ভেগান হননি। দিনে ৬ বার খান এমবাপ্পে। প্রতিবার অল্প অল্প, সকালে ঘুম থেকে উঠে গরম গরম কফি।
তারপর প্র্যাক্টিসে যাওয়ার আগে বাটার টোস্ট আর দুটো ডিম তা বয়েল্ড হতে পারে, পোচড কিংবা ফ্রায়েড হতে পারে। প্র্যাক্টিস থেকে ফিরে এসে তিনি খান প্রোটিন বার, চকোলেট, স্যালাড এবং চিজ কিংবা চিকেন স্যান্ডউইচ। দুপুরের লাঞ্চের মেনু ব্রাউন রাইস, প্রচুর পরিমাণে স্যালাড, দু ধরনের সবজি আর চিকেন কিংবা টুনা মাছের কারি। বিকেলে এমবাপ্পের বরাদ্দ ফল এবং ড্রাই ফ্রুটস।
রাতের ডিনার সংক্ষিপ্ত। তবে, ব্রাউন রাইস চাইই চাই। সঙ্গে চিকেন কিংবা ফিশ কারি আর একটা সবজি। ভেতো বাঙালির মতোই ভাত খেতে ভালোবাসেন এমবাপ্পে। তাই কি তিনি প্রিয় হয়ে উঠছেন এই উপমহাদেশের দর্শকদের কাছে? ব্রাউন রাইস অথবা ধব ধবে জুঁই ফুলের মতো ভাত যাই বলি না কেন- উইলিয়াম শেক্সপীয়ার তো বলেই গেছেন, হোয়াটস ইন এ নেম- তাই রাইস রাইসই। ভাত ভাতই- তাকে যে নামেই ডাকা হোক না কেন।