যে দেশ স্যাংশন বা নিষেধাজ্ঞা দেবে তাদের কাছ থেকে কেনাকাটা না করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, যে সংস্থা জঙ্গি দমনে সফল হয়েছে সেই সংস্থার প্রতি স্যাংশন। এটা কেমন কথা। এ কারণে আমি সংশ্লিষ্টদের বলেছি, যারা এমন স্যাংশন দেবে তাদের সঙ্গে কেনাকাটা আমরা করবো না।
গতকাল সোমবার বিকালে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে অন্য এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, যারা স্যাংশন দেবে তাদের পণ্য বাংলাদেশ কিনবে না। সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে এই বক্তব্যের বিষয়ে প্রশ্ন রেখে বলা হয়, এমন উদ্যোগে কোনো ভয় আছে কিনা?
জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা আমাদের স্যাংশন দেবে তাদের কাছ থেকে আমরা কেনাকাটা করবো না। আমি এমন নির্দেশনা দিয়েছি। সারা বিশ্বে যেখানে মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষ ভুগছে। সুপারশপগুলো খালি। মানুষের পণ্য কেনার সীমা নির্ধারণ করে দেয়া হচ্ছে। সেখানে আমাদের অবস্থা অনেক ভাল আছে। আমাদের দু:শ্চিন্তার কী আছে। কথা নাই, বার্তা নাই আমাদের স্যাংশনের ভয় দেখাবে। ভয়ের কী আছে!
সদ্য সমাপ্ত জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফর নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলন করেন প্রধানমন্ত্রী। সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী এই তিন দেশ সফরের বিস্তারিত লিখিত বক্তব্যে তুলে ধরেন।
নদী রক্ষার বিষয়ে সরকার কী উদ্যোগ নিয়েছে এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যতোগুলো নদী, খাল এবং পুকুর উদ্ধার করা সম্ভব তা সরকার করেছে। এটা আওয়ামী লীগ সরকারের সময়েই হয়েছে। নদী রক্ষা এবং নদী খননের কাজও সরকার করে যাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় আইএমএফ’র সদরদপ্তরে কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে পদ্মা সেতুর পেইনটিং উপহার দেয়ার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশে যে ভাল পেইন্টার আছে তা জানানোর জন্য এটি নিয়ে গিয়েছিলাম। আর বাংলাদেশের মানুষের সবচেয়ে প্রিয় জায়গা হলো পদ্মা সেতু। এজন্য এই পেইনটিং নিয়ে যাই।
ডলার সংকট বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ডলার সংকট সমগ্র বিশ্বে আছে। করোনার অতিমারির সময় আমদানি রপ্তানি বন্ধ ছিল। এজন্য আমাদের ভাল রিজার্ভ ছিল। অর্থনীতি উন্মুক্ত হওয়ার পর ডলারের সংকট তৈরি হয়। আর আমরা যখন ক্ষমতায় আসি তখন কতো ছিল ডলারের রিজার্ভ? এখন যা আছে তাতে কোনো সংকট হবে না।
এক ঘণ্টা ৪০ মিনিটের দীর্ঘ প্রেস কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, রিজার্ভ নিয়ে শঙ্কার কোনো কারণ নেই।
মোকার আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর সংস্কার শুরু হয়েছে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, এ দিন প্রচলিত প্রেস কনফারেন্সের মতো সংবাদ কর্মী বা প্রশ্নকারীর ওপর ক্যামেরা ফোকাস করা হয়নি।