ব্রিটেনের ৫৮তম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন লেবার পার্টির নেতা কেয়ার স্টারমার। এর মধ্যদিয়ে তিনি এমন অনেক রাজনীতিক, শাসক ও সেলিব্রিটিদের বিশিষ্ট ক্লাবে প্রবেশ করেছেন যারা ৯২৮ বছর পুরনো অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। দ্য নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
১০৯৬ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ইংরেজিভাষী বিশ্বের প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইতালির ইউনিভার্সিটি অফ বোলোগনার পর বিশ্বের দ্বিতীয়-প্রাচীনতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
১৮ শতকে যখন রাজা প্রথম জর্জ তার মন্ত্রীদের সভায় যোগদান বন্ধ করে দেন, তখন ব্রিটেনে প্রধানমন্ত্রী পদ সৃষ্টি হয় এবং সরকারের প্রধান নির্বাহী হিসাবে ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর হাতে ছেড়ে দেয়া হয়।
স্যার রবার্ট ওয়ালপোলকে ব্রিটেনের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১৭২১ খ্রিষ্টাব্দে তাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করা হয়। ১৭৪২ সাল পর্যন্ত টানা ২১ বছর দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
ওয়ালপোল থেকে শুরু করে কেয়ার স্টারমার পর্যন্ত ৫৮ জন প্রধানমন্ত্রী পেয়েছে যুক্তরাজ্যে। এই ৫৮ প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ৩১ জনই অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে যুক্তরাজ্যের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হন স্পেন্সার কম্পটন। অক্সফোর্ডের ট্রিনিটি কলেজের এই ছাত্র হুইগ পার্টির নেতা ১৭৪২ খ্রিষ্টাব্দের ফেব্রুয়ারি থেকে ১৭৪৩ খ্রিষ্টাব্দের জুলাই পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
এরপর অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে আরও যারা ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, তারা হলেন ঋষি সুনাক, লিজ ট্রাস, থেরেসা মে, মার্গারেট থ্যাচার, টনি ব্লেয়ান, ডেভিড ক্যামেরন, বরিস জনসন, এডওয়ার্ড হিথ, ক্লেমেন্ট অ্যাটলি, হ্যারল্ড ম্যাকমিলান, এইচএইচ অ্যাসকুইথ, উইলিয়াম গ্লাডস্টোন, হ্যারল্ড উইলসন, হেনরি পেলহাম, উইলিয়াম পিট দ্য এল্ডার, ফ্রেডরিক নর্থ, জর্জ গ্রেনভিল, উইলিয়াম পেটি, উইলিয়াম ক্যাভেনডিশ, হেনরি অ্যাডিংটন, রবার্ট জেকিনসন, রবার্ট গ্যাসকয়েন সেসিল, আর্চিব্যাল্ড প্রিসরোজ, অ্যান্থনি ইডেন, জর্জ ক্যানিং, অ্যালেস ডগলাস-হোম, এডওয়ার্ড স্মিথ স্ট্যানলি ও স্যার রবার্ট পিল।
৬১ বছর বয়সী কেয়ার স্টারমার অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট এডমন্ড হল থেকে ১৯৮৬ খ্রিষ্টাব্দে সিভিল আইনে স্নাতকোত্তর স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।
এরপর আইন পেশায় যোগ দেন। ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে তিনি প্রথমবার লন্ডন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের সাধারণ নির্বাচনের পর হন দলের নেতা।
১৪ বছরের কনজারভেটিভ দলের শাসনের অবসান ঘটিয়ে নিরঙ্কুশ বিজয়ের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় এসেছেন স্টারমার। গত বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) অনুষ্ঠিত পার্লামেন্ট নির্বাচনে ৪১২টি আসনে জয় পায় তার লেবার পার্টি। কনজারভেটিভ পার্টি পায় ১২১টি আসন।