বেতন-ভাতা ইস্যুতে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষক-কর্মীরা পরীক্ষা বয়কটের ডাক দেয়ায় বিপাকে পড়েছেন যুক্তরাজ্যের স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা। ঠিক সময়ে তাদের নির্ধারিত কোর্স ও পরীক্ষা শেষ হওয়া নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। দেশটির সার্বিক গ্রাজুয়েশন প্রক্রিয়াতেই এর প্রভাব পড়তে পারে।
যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ ইউনিয়নের সদস্যরা অবসরকালীন ভাতাসহ নানা সুবিধা বাড়ানোর পক্ষে মত দিয়েছেন। এই দাবি না মানায় তারা পরীক্ষা কার্যক্রম বয়কটের ডাক দিয়েছেন।
ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জো গ্রাডি বলেছেন, বিলম্ব না করেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের (মালিক/নিয়োগ কর্তা) উচিত সমঝোতার টেবিলে আসা। তিনি বলেছেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক-কর্মীরা পরিষ্কারভাবেই জানিয়েছেন, তারা ভালো কিছু প্রত্যাশা করছেন। আর নিয়োগ কর্তাদের স্বার্থ এবং স্নাতক পর্যায়ের লেখাপড়ার বিঘ্ন এড়াতে ভালো কোনো প্রস্তাব দেওয়া উচিত।’
এই বয়কটের কারণে পরীক্ষার ফল ও কোর্সে কাজকর্মে বিলম্ব হতে পারে। অনেক শিক্ষার্থীর নির্দিষ্ট সময়ে গ্রাজুয়েশন শেষ নাও হতে পারে, যদি না প্রতিষ্ঠানগুলি পূর্ববর্তী মার্ক (নম্বর) ব্যবহার করে ডিগ্রি প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়।
ইউনিয়নের সদস্যরা তাদের উচ্চ শিক্ষা ব্রাঞ্চের সাথে চলতি সপ্তাহেই আরো একটি মিটিং করবে। বেতন প্রসঙ্গে তারা আলোচনা করবে। যার মধ্যে কর্মবিরতিও মতো কর্মসূচির প্রসঙ্গও থাকবে। গতমাসে ইউনিয়নের সদস্যরা তিন দিনের কর্মবিরতি পালন করেছিল।
বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোর কর্তৃপক্ষের দেওয়া বেতন-ভাতা প্রস্তাবে রাজি হয়নি কর্মীরা। তাই হতাশা প্রকাশ করেছেন মালিকদের সংগঠন।
মালিক পক্ষের সংগঠন ইউনিভার্সিটিস এন্ড কলেজেস এমপ্লয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান নির্বাহী রাজ জেথাওয়া বলেছেন, বেতনের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়া হতাশাজনক তবে বিস্ময়কর কিছু নয়। তার দাবি, শিক্ষক-র্মীদের সংগঠন বলে দাবি করা ইউনিয়নটি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের সব কর্মীদের প্রতিনিধিত্ব করে না। কারণ অনেক শিক্ষকই এই সংগঠনের সদস্য নয়।
সূত্র: গার্ডিয়ান