যুক্তরাজ্যের ইস্ট লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছয় বছর আগে মাত্র কয়েকশো ভারতীয় শিক্ষার্থীর উপস্থিতি ছিল। কিন্তু গত বছর বিশ্ববিদ্যালয়টিতে মোট শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছয় হাজারের বেশি দেখা যায় ভারতীয়। যা এক-চতুর্থাংশ। এই পরিবর্তনে অবদান রেখেছে নতুন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর আমান্ডা ব্রডেরিক বলেন, আগে মাত্র কয়েকটি এলাকা থেকে শিক্ষার্থীরা আসতো। কিন্তু হঠাৎ করে বিশ্ববিদ্যালয়টি আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা পাচ্ছে এবং দিন দিন তা বাড়ছে। ২০১৭ সালের পর ক্যাম্পাসে এই ধরনের শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে ৬০ শতাংশের বেশি।
তবে শুধু ইস্ট লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ই নয় যুক্তরাজ্যের প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়েরই একই পরিস্থিতি। সেখানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভারতীয় শিক্ষার্থীদের আবেদনের সংখ্যা বেড়েছে নজিরবিহীনভাবে। নতুন কোর্স শুরুর ক্ষেত্রে ২০১৭ থেকে ২০২১ সালে ছয়গুণ বেশি ভারতীয় প্রত্যক্ষ করেছে ব্রিটেন।
যুক্তরাজ্যের ইস্ট লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছয় বছর আগে মাত্র কয়েকশো ভারতীয় শিক্ষার্থীর উপস্থিতি ছিল। কিন্তু গত বছর বিশ্ববিদ্যালয়টিতে মোট শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছয় হাজারের বেশি দেখা যায় ভারতীয়। যা এক-চতুর্থাংশ। এই পরিবর্তনে অবদান রেখেছে নতুন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর আমান্ডা ব্রডেরিক বলেন, আগে মাত্র কয়েকটি এলাকা থেকে শিক্ষার্থীরা আসতো। কিন্তু হঠাৎ করে বিশ্ববিদ্যালয়টি আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা পাচ্ছে এবং দিন দিন তা বাড়ছে। ২০১৭ সালের পর ক্যাম্পাসে এই ধরনের শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে ৬০ শতাংশের বেশি।
তবে শুধু ইস্ট লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ই নয় যুক্তরাজ্যের প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়েরই একই পরিস্থিতি। সেখানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভারতীয় শিক্ষার্থীদের আবেদনের সংখ্যা বেড়েছে নজিরবিহীনভাবে। নতুন কোর্স শুরুর ক্ষেত্রে ২০১৭ থেকে ২০২১ সালে ছয়গুণ বেশি ভারতীয় প্রত্যক্ষ করেছে ব্রিটেন।
ভারত থেকে যারা যুক্তরাজ্যে পড়তে যায় তারা অধিকাংশই পোস্টগ্র্যাজুয়েট। ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানা থেকে সবচেয়ে বেশি যায়। তবে চীন থেকে যারা যায় তাদের মধ্যে অনেকেই আন্ডারগ্র্যাজুয়েট।
ভারতীয় শিক্ষার্থী বাড়ার ক্ষেত্রে অবদান রেখেছে ২০১৯ সালের ভিসানীতি। তখন নিয়ম করা হয় গ্র্যাজুয়েটের পর বিদেশিরা দুই বছর কাজ করারা পাশাপাশি দেশটিতে অবস্থান করতে পারবে।
এদিকে শিক্ষার্থী বাড়ায় লাভবান হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও। বিদেশিরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়ের পাঁচ ভাগের এক ভাগ সরবরাহ করছে। দেশটিতে মূল্যস্ফীতি বাড়লেও স্থিতিশীল রয়েছে টিউশন ফি। এতে সুবিধায় রয়েছে স্থানীয় শিক্ষার্থীরা। কারণ বিদেশি শিক্ষার্থীরা স্থানীয়দের থেকে বেশি অর্থ পরিশোধ করে।
তবে সব কিছু আশাব্যাঞ্জক নয়। এর মধ্যে ক্ষমতাসীন কনজার্ভেটিভ পার্টি অভিবাসননীতিতে কঠোর হতে শুরু করেছে। চলতি বছরের মে মাসে দেশটির সরকার জানিয়েছে, অধিকাংশ পোস্টগ্র্যাজুয়েট এখন আর পরিবারের লোকজন নিয়ে আসতে পারবে না। গত বছর এক লাখ ৪০ হাজার ভারতীয় শিক্ষার্থীর সঙ্গে ৪০ হাজার ডিপেন্ডেট যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করেছে।
তবে বিদেশি শিক্ষার্থীদের নানা ধরনের সমস্যার মধ্য দিয়েও যেতে হচ্ছে সেখানে। তাদের অভিযোগ, ব্রিটেনে সুযোগ-সুবিধা কম। ভারতের একজন শিক্ষার্থী জানান, যুক্তরাজ্যে জীবনযাত্রার ব্যয় অনেক বেশি। অনেক শিক্ষার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, করোনা মহামারি শুরুর তিন বছরে পরেও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনলাইনে অতিরিক্ত নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছে।