দৈনিকশিক্ষা প্রতিবেদক: গার্মেন্টস শ্রমিক নেতা কল্পনা আক্তারের ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ব্যাখ্যা চাইবে বাংলাদেশ। আর বিশ্বব্যাপী শ্রমিকদের অধিকার ও তাদের মানোন্নয়ন নিয়ে দেশটির নতুন উদ্যোগে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো যৌক্তিক কারণ দেখছেন না পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।
মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলে প্রতিমন্ত্রী।
বিশ্বব্যাপী শ্রমিকদের অধিকার ও তাদের মানোন্নয়ন নিয়ে সম্প্রতি একটি নতুন স্মারকপত্র স্বাক্ষর করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। স্মারকপত্র প্রকাশের পর দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন তার বক্তব্যে কল্পনা আক্তার নামে বাংলাদেশের এক গার্মেন্টস শ্রমিক নেত্রীর কথা উল্লেখ করেছেন। এ বিষয়ে সরকারের অবস্থান জানতে চাওয়া হয় প্রতিমন্ত্রীর কাছে।
শাহরিয়ার আলম বলেন, আমি পরিষ্কারভাবে বলছি, এই কমেন্টস গার্মেন্টস কেন্দ্রিক ছিলো না। অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের ওই বক্তব্য ছিল অ্যাপেক (এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কোঅপারেশন) সামিটে। এটা শুধুমাত্র গার্মেন্টস শিল্প বা টেক্সটাইল শিল্প বা বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক কোনো বৈঠকে নয়।
প্রতিমন্ত্রী জানান, কল্পনা আক্তার বাংলাদেশে একবারই গ্রেফতার হয়েছিলেন ২০১০ খ্রিষ্টাব্দে। তিনি একা নন, তার সঙ্গে আরো একাধিক শ্রমিক নেতা চাকরিরত অবস্থায় আন্দোলন করতে গিয়ে গ্রেফতার হয়েছিলেন। পরবর্তী সময়ে তাদের মামলাটি তুলে নেয়া হয়।
তিনি বলেন, কল্পনা আক্তার যেটা বলেছেন যে, তিনি আমাদের কারণে বা অন্য কারো দ্বারা হুমকি পেয়েছিলেন, এই ক্ল্যারিফিকেশনটা (ব্যাখ্যা) আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে চাইবো। আমরা এটা অবশ্যই পরবর্তী আলোচনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে জিজ্ঞাসা করবো।
শাহরিয়ার আলম বলেন, কল্পনা আক্তার খুব সফলতার সঙ্গে বাংলাদেশের শ্রম অধিকার নিশ্চিত করার জন্য একটি এনজিও প্রতিষ্ঠা করে তার নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন।