যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদন পড়লে লজ্জিত হই : মির্জা ফখরুল - দৈনিকশিক্ষা

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদন পড়লে লজ্জিত হই : মির্জা ফখরুল

দৈনিকশিক্ষা প্রতিবেদক |

বাংলাদেশ সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক মানবাধিকার প্রতিবেদনে যেসব প্রসঙ্গ এসেছে, তা পড়লে লজ্জা বোধ করেন বলে জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিএনপির এই মহাসচিব বলেন, বর্তমান সরকার সচেতনভাবে বাংলাদেশকে গণতন্ত্র থেকে সরিয়ে নিয়েছে। আজ বুধবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে বিএনপির সাবেক মহাসচিব কে এম ওবায়দুর রহমানের ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক স্মরণসভায় এসব কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২০২২ খ্রিষ্টাব্দে যে প্রতিবেদন দিয়েছে, সেটা পড়লে এত লজ্জিত হই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনে এসেছে এ দেশে গণতন্ত্রের লেশমাত্র নেই। এখানে মানবাধিকারের লেশমাত্র নেই।’ তিনি আরও বলেন, বন্দুকযুদ্ধে মানুষ মেরে ফেলা হচ্ছে, গুম হচ্ছে, বিনা বিচারে মানুষ মরছে। মানুষের অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। সাংবাদিকদের সত্য বলার স্বাধীনতা নেই। এই ধরনের ভয়াবহ চিত্র যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনে এসেছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, এই রিপোর্ট বের হওয়ার পর আওয়ামী লীগের নেতারা বলা শুরু করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র নিজের দিকে তাকায় না। যুক্তরাষ্ট্র নিজের দিকে তাকায় বলেই এই ধরনের প্রতিবেদন তৈরি করে। সে দেশ গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছে। গণতন্ত্রের নেতা হিসেবে তারা কাজ করছে।

যুক্তরাষ্ট্র ‘২০২২ কান্ট্রি রিপোর্টস অন হিউম্যান রাইটস প্র্যাকটিসেস’ শীর্ষক এই প্রতিবেদন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে গত সোমবার প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে ১৯৮টি দেশ ও অঞ্চলের মানবাধিকার পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে।

প্রতিবেদনে বাংলাদেশবিষয়ক অংশের শিরোনাম, ‘২০২২ কান্ট্রি রিপোর্টস অন হিউম্যান রাইটস প্র্যাকটিসেস: বাংলাদেশ’। এতে বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম, নির্যাতন, কারাগারের পরিস্থিতি, ধরপাকড়, আটক বা গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া ও কারাবন্দীদের সঙ্গে আচরণ, বিচারব্যবস্থা, মানবাধিকারকর্মী-নাগরিক সমাজ ও সরকার সমালোচকদের প্রতি হুমকি-হয়রানি-নির্যাতন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, নাগরিক অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে। এ ছাড়া গণমাধ্যমের ওপর বিধিনিষেধ, শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ ও সংগঠন করার অধিকার, ধর্মীয় স্বাধীনতা, ‘শরণার্থীদের’ সুরক্ষা, মৌলিক সেবাপ্রাপ্তির সুবিধা, রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের স্বাধীনতা, দুর্নীতি, সরকারি কাজকর্মে স্বচ্ছতার ঘাটতি, বৈষম্য ও সামাজিক নির্যাতন, মানব পাচার, শ্রমিকদের অধিকারসহ নানা বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার পরিবেশ এখনও হয়নি: শিক্ষামন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার পরিবেশ এখনও হয়নি: শিক্ষামন্ত্রী দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে এসেছে : সেনাপ্রধান - dainik shiksha দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে এসেছে : সেনাপ্রধান তিন-চার দিনের মধ্যে সবকিছু নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী - dainik shiksha তিন-চার দিনের মধ্যে সবকিছু নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ফেসবুক-টিকটক আপাতত বন্ধ থাকছে - dainik shiksha ফেসবুক-টিকটক আপাতত বন্ধ থাকছে পিএসসির সব পরীক্ষা ৩১ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত - dainik shiksha পিএসসির সব পরীক্ষা ৩১ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে সবার কাছে নাশকতার ছবি-ভিডিয়ো ফুটেজ চেয়েছে পুলিশ - dainik shiksha সবার কাছে নাশকতার ছবি-ভিডিয়ো ফুটেজ চেয়েছে পুলিশ please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0055661201477051