মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ড. এম ওসমান ফারুকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে যেকোনো সময় আবেদন করা হবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই কথা জানান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক এম সানাউল হক।
তিনি বলেন, ওসমান ফারুকের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ পর্যায়ে। তার বিরুদ্ধে ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে মানবতাবিরোধী অপরাধের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। প্রত্যক্ষ সাক্ষীও পাওয়া গেছে। আশা করছি দুই মাসের মধ্যেই প্রতিবেদন দিতে পারবো। আর যে কোনো সময় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আবেদন করা হবে বলেও জানান তিনি।
মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে টাঙ্গাইলের দুই আসামির বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিষয়ে জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। আসামিরা হলেন, রাজাকার কমান্ডার কোহিনুর ওরফে মনিরুজ্জামান কহিনুর (৭০) ও রাজাকার আলমগীর ওরফে আলমগীর তালুকদার (৬৭)।
তারা গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন বলে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে। আসামিদের বিরুদ্ধে আটক, নির্যাতন, হত্যা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের তিনটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোন আনা হয়েছে।
এদিকে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ ওঠার পর ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দেই সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ওসমান ফারুক দেশ ছেড়েছেন বলে জানা গেছে। তিনি বিএনপি-জামাত আমলে (২০০১ -২০০৬) শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন। তার আগে তিনি বিশ্বব্যাংকে চাকরি করেছেন।