ফেনীর সোনাগাজীর সুলতান আহাম্মদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নারায়ণ চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে সাত শিক্ষার্থীকে যৌন হেনস্তার অভিযোগ তদন্তে কমিটি হয়েছে। উপজেলার সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ওয়াহিদুর রহমান ও আনসার-ভিডিপি কর্মকর্তা রাবেয়া সুলতানাকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুল হাসান জানিয়েছেন, কমিটি আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবে। তদন্তে প্রধান শিক্ষক দোষী প্রমাণিত হলে তাঁর শাস্তি হবে।
বিদ্যালয়ের চারজন সহকারী শিক্ষকের ভাষ্য, গত বুধবার কয়েকজন অভিভাবক বিদ্যালয়ে এসে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সাত-আটজন ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেন। সেদিন প্রধান শিক্ষকদের উপজেলায় মাসিক সমন্বয় সভা থাকায় নারায়ণ চন্দ্র রায় বিদ্যালয়ে ছিলেন না। পরে অভিভাবকরা তাঁর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়ে চলে যান।
গত রোববার সকালে প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ে গেলে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা তাঁর শাস্তির দাবি করেন। তারা প্রধান শিক্ষককে অফিসকক্ষে তালা লাগিয়ে চার ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন। দুপুর ১টার দিকে ইউএনও কামরুল হাসান ও সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ওয়াহিদুর রহমান এসে তাঁকে উদ্ধার করেন। তখন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা নারায়ণ চন্দ্র রায়কে অন্যত্র বদলি ও তাঁর উপযুক্ত শাস্তির দাবি করেন। ইউএনও আপাতত প্রধান শিক্ষককে পাঠদান থেকে অব্যাহতি দিয়ে তদন্ত কমিটি করে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ছাত্রীদের যৌন হয়রানির বিষয়টি খুবই দুঃখজনক ও লজ্জার। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রয়োজনে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।