দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক: দীর্ঘদিন ধরে মাদরাসার কোমলমতি শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানি ও মোবাইলে ভিডিও ধারণসহ নানান অপকর্ম করে আসছিল ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার ফজিলাতুন্নেছা কওমি মহিলা মাদরাসার প্রধান শিক্ষক আব্দুল গাফফার। অবশেষে তার সকল অপকর্ম প্রকাশ হলে গতকাল দুপুরে পুলিশ তাকে আটক করে কারাগারে পাঠায়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, হালুয়াঘাট উপজেলার ৫নং গাজিরভিটা ইউনিয়নের ফজিলাতুন্নেছা কওমি মহিলা মাদরাসার প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল গাফফার শুরু থেকেই প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। অভিযোগ রয়েছে, ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দ থেকে অদ্যাবধি পর্যন্ত অত্র প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালনকালে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সময়ে শ্লীলতাহানিসহ নানানভাবে যৌন হয়রানি করতেন। সম্প্রতি ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিশু শিক্ষার্থীর সঙ্গে আবারো শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর দাদা। ওই শিক্ষার্থী জানান, গত ৯ই মে রাত সাড়ে ৮টার দিকে যথারীতি মাদরাসায় পড়ালেখা শেষ করে বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে বের হলে বাড়িতে পৌঁছে দেয়ার কথা বলে পথিমধ্যে ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটায়।
পরে তা জানাজানি হলে ভুক্তভোগী শিশুর পরিবার ও স্থানীয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবিদুর রহমানের কাছে এক লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরে এ অভিযোগ হালুয়াঘাট থানার ওসি বরাবরে প্রেরণ করেন ইউএনও। এ ঘটনায় গতকাল রাতে মামলা রুজু হয়। ওই দিনই অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল গাফফারকে আটক করে হালুয়াঘাট থানা পুলিশ।
হালুয়াঘাট থানার ওসি মোহাম্মদ মাহবুবুল হক বলেন, অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পুলিশ প্রেরণ করে তদন্তে প্রাথমিকভাবে প্রমাণ পাওয়ায় মামলা রুজু হয়েছে। আসামিকে আটক করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবিদুর রহমান বলেন, আমার কাছে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলে, আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যে তা আমি ওসিকে প্রেরণ করি। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষকের এমন ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।