যৌন নিপীড়নের অভিযোগে অভিযুক্ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাদিকুল ইসলাম সাগরকে সব ধরনের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে আইন বিভাগের একাডেমিক কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। এ ছাড়া অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের সত্যতা জানতে বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. সাঈদা আঞ্জুকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট এক কমিটি হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- আইন বিভাগের প্রফেসর ড. মো. মোর্শেদুল ইসলাম, প্রফেসর ড. মো. আবদুল আলীম, প্রফেসর ড. শাহীন জোহরা ও সালমা আখতার খানম।
কমিটিকে সহযোগিতা করতে ৬টি ব্যাচ থেকে মোট ১২ জন শিক্ষার্থী যুক্ত থাকবেন। কমিটিকে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন জমা হওয়ার আগ পর্যন্ত অধ্যাপক সাদিকুল সাগরকে সব ধরনের অ্যাকাডেমিক কাজ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইন বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. সাঈদা আঞ্জু বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ যৌন হয়রানি ও নির্যাতন বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে ও ব্যক্তিগতভাবে ছাত্র-ছাত্রীরা আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাদিকুল ইসলাম সাগর সম্পর্কে অভিযোগ করেছেন।
তিনি আরো বলেন, এর আলোকে একাডেমিক কমিটি সর্বসম্মতভাবে একটি ‘সত্যানুসন্ধান কমিটি’ করেছে। কমিটি ১০ কর্মদিবসের মধ্যে ঘটনার বিস্তারিত রির্পোট পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য আইন বিভাগের সভাপতির কাছে পেশ করবে। এ অনুসন্ধান প্রক্রিয়া চলমান থাকাবস্থায় সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে ক্লাস-পরীক্ষা তথা সব প্রকার একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাদিকুল ইসলাম সাগরের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার সাড়া মেলেনি।