দৈনিকশিক্ষাডটকম, রাজবাড়ী: পাংশা উপজেলায় অনিয়মের অভিযোগে হাবাসপুর উত্তরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর নির্মাণকাজ বন্ধ করে দিয়েছেন উপজেলা প্রকৌশলী। অভিযোগ উঠেছে প্রাচীরের কলামের ভিত্তির (বেইজ) ঢালাইয়ে কোনো রড ব্যবহার করেনি ঠিকাদার।
উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, পাংশায় তিনটি বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর নির্মাণের আদেশ দেওয়া হয়েছে। উপজেলা
স্থানীয়রা জানান, গত বুধবার সকালে সীমানা প্রাচীরের কলামের ভিত্তির ঢালাইয়ের কাজ শুরু করা হয়। ভিত্তির ঢালাইয়ের শুরুতে রড দিয়ে খাঁচা বা অবকাঠামো তৈরি করার কথা থাকলে রড ছাড়াই শুধু ইট, বালু, সিমেন্ট ও খোয়া দিয়ে ঢালাই দেওয়া হয়েছে। উপজেলা চেয়ারম্যান নিজেই ঠিকাদার হওয়ায় কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি। পরে বিষয়টি জানতে পেরে উপজেলা প্রকৌশলী সেখানে উপস্থিত হয়ে ঘটনার সত্যতা পান এবং নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, সীমানা প্রাচীরের বেইজ ঢালাইয়ের জন্য বিদ্যালয়ের চারপাশে ৪৩টি গর্ত খোঁড়া হয়েছে। গর্তের ভেতর ইট, বালু ও সিমেন্টের কংক্রিট পড়ে আছে। কোনো রড দেখা যায়নি।
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এমদাদুল হক বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগে আমাদের বিদ্যালয়ের কাজটি শুরু করা হয়। বুধবার সকালে বেইজ ঢালাই শুরু করা হয়। কাজ শুরুর কিছু সময় পরে এলজিইডি থেকে কর্মকর্তারা এসে কাজ বন্ধ করে দেন। কিন্তু কী কারণে বন্ধ করে দিয়েছেন তা জানি না।’
উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী জাকির হোসেন বলেন, ‘কাজের ক্ষেত্রে কিছু অনিয়ম হয়েছিল। বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ জাফর সাদিক চৌধুরী বলেন, ‘বিষয়টি জানার পর উপজেলা প্রকৌশলী আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। অনিয়মের বিষয়টির প্রমাণ পাওয়ায় কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। নির্মাণকাজে অনিয়ম করার কোনো সুযোগ নেই।’
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী উপজেলা চেয়ারম্যান ফরিদ হাসান ওদুদ বলেন, ‘যুবলীগের নাজমুল নামে এক কর্মী আমার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স নিয়ে কাজটি করছেন। কাজে কিছুটা অনিয়ম হয়েছে। বিষয়টি সমাধান হয়ে গেছে। অল্প সময়ের মধ্যে কাজ শুরু করা হবে।’