রাজনীতিবিদদের ওপরে থাকতে চান আমলারা - দৈনিকশিক্ষা

রাজনীতিবিদদের ওপরে থাকতে চান আমলারা

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

নিজেদের সুরক্ষার জন্য আমলারা সরকারকে দিয়ে নানা আইন করান। আমজনতা হিসেবে যতটা অধিকার ভোগ করা যায়, তার চেয়ে একটু বেশিই পেতে চান তারা। রেষারেষি করে রাজনীতিবিদদেরও ওপরে থাকতে চান।

এই বেশি পেতে গিয়ে কখনো কখনো সাংবিধানিক সীমা লঙ্ঘন করেন। তখন অনেকের চোখে পড়েন। সেই চোখ এড়িয়ে তীরে উঠতে পারেন না। আমলাদের হয়ে মামলায় লড়ে হারে সরকার। আমলারা হেরে দমে না গিয়ে আবার সুরক্ষার মন্ত্র আওড়ান নীতিনির্ধারকদের কানে। রোববার (৭ মে) দেশ রুপান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।  প্রতিবেদনটি লিখেছেন আশরাফুল হক। 

প্রতিবেদনে আরও জানা যায়, আইনবিদ মনজিল মোরসেদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, আপনি তো জনস্বার্থ-সংশ্লিষ্ট অনেক মামলা করেছেন। আমলারা আমজনতার

চেয়ে ভিন্ন থাকতে চান। আর রাজনীতিবিদদের ওপরে থাকতে চান। তাদের এই প্রবণতা কেন? জবাবে তিনি বলেছেন, এর কারণ হচ্ছে আমাদের এখানে রুল অব ল’র উইকনেস দেখা দিয়েছে। উপমহাদেশের সব দেশই ব্রিটিশশাসিত ছিল। ব্রিটিশরা তাদের সুবিধার জন্য আইনগুলো করেছিল। উপমহাদেশের অন্য দেশগুলোর রাষ্ট্রীয় কাঠামো খুব একটা দুর্বল হয়নি। ওইসব দেশে রাষ্ট্র পরিচালনা করে রাজনৈতিক দল এবং তাদের সিদ্ধান্তটাই প্রধান। কিন্তু আমাদের দেশে প্রশাসনের ওপর নির্ভরশীলতা অনেক বেশি। এ কারণেই তারা যা খুশি তা করতে পারছে। যারা ক্ষমতায় থাকে তাদেরও তারা লিড করতে পারে।

নিজেদের আইনি সুরক্ষার কথা বলে আমলারা দুর্নীতি দমন কমিশন আইনে নতুন ধারা সংযোজন করেছিলেন। যাতে কর্মচারীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলায় সরকারের অনুমতি নেওয়ার বিধান ছিল। ফলে সরকারের অনুমোদন ছাড়া ডিসি, এসপি, সচিবসহ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, জজ ও ম্যাজিস্ট্রেটের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কোনো মামলা করতে পারত না। এতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুর্নীতির বিচারে সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে এমন অভিযোগে ব্যাপক সমালোচনা ও উদ্বেগ তৈরি হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ২০১৪ সালের ৩০ জানুয়ারি আদালত ওই ধারাটিকে সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও বৈষম্যমূলক উল্লেখ করে তা বাতিল করে। এরপর আপিল করেনি সরকার। অর্থাৎ হাইকোর্ট ধারাটি বাতিল করে যে রায় দিয়েছে সেটাই চূড়ান্ত।

দুর্নীতি দমন কমিশন আইনে হেরে যাওয়ার পর আমলাদের চিন্তায় আসে নতুন করে কীভাবে আইনি সুরক্ষা পাওয়া যায়। তারা সরকারি চাকরি আইনকে বেছে নেয়। এই আইনে বলা হয় সরকারি চাকরিজীবীদের গ্রেপ্তারের আগে অনুমতি লাগবে। ফৌজদারি মামলায় সরকারি কর্মচারীদের গ্রেপ্তারে সরকার বা নিয়োগকারী কর্র্তৃপক্ষের অনুমতি নেওয়ার বিধান বাতিল করে হাইকোর্ট রায় দিয়েছে গত ২৫ আগস্ট। এর বিরুদ্ধে সরকার ‘লিভ টু আপিল’ করেছে। অর্থাৎ ধারাটি এখনো বহাল রয়েছে।

উপজেলা পরিষদে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার পদ-সংক্রান্ত ধারা বাতিল করেছে হাইকোর্ট। উপজেলা পরিষদ আইনের এ ধারাটি বাতিল করার ফলে উপজেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না ইউএনওরা। অর্থাৎ নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমেই উপজেলা পরিষদ পরিচালিত হবে। যদিও হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত করেছে আপিল বিভাগ।

দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, সরকারি চাকরি আইন বা উপজেলা নির্বাহী পরিষদ আইনে সরকারি চাকরিজীবীদের ক্ষমতায়িত করা হয়েছে। সুরক্ষার কথা বলে তারা একটার পর একটা আইনে ধারা সংযোজন করিয়েছেন। এর বাইরেও অনেক আইন, বিধি বা প্রো-বিধিতে তারা সুরক্ষা নিশ্চিত করার চেষ্টা করেন। গত বছর ডিজিটাল ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম-সংক্রান্ত বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) প্রবিধানের চূড়ান্ত খসড়ায় একটি নতুন ধারায় সরকারি কর্মকর্তাদের দায়মুক্তি দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, মন্ত্রী ও সরকারি কর্মকর্তাদের সরল বিশ্বাসে (গুড ফেইথ) করা কোনো কাজের জন্য কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হলে ক্ষতিপূরণ দাবি করে মামলা করা যাবে না। একটি বেসরকারি বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানতে চান, ‘যদি প্রবিধানে সরকারি কর্মচারীদের দায়মুক্তির বিধান থাকে, তাহলে তা দেশের সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয় কি?’

ব্যাপক সমালোচনার মুখে বিটিআরসি প্রবিধানের ধারাটি বাদ দিতে বাধ্য হয়।

সংশ্লিষ্টরা জানান, সরকারি চাকরি আইনের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো, এটা সংবিধানের পরিপন্থী। আইনের চোখে সবাই সমান হলেও এ আইনে সরকারের কর্মচারীদের বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়েছে। বৈষম্যমূলক বিধানের কারণে এই বিশেষ শ্রেণিকে গ্রেপ্তার করা যাবে না, যা দিয়ে সব সরকারি কর্মচারীকে সুরক্ষা দেওয়া হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে, সবাই কি অপরাধের সঙ্গে জড়িত? যদিও অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের সংখ্যা কম। গুটি কয়েকের জন্য সবাইকে অপবাদের মধ্যে ফেলা হয়েছে।

যদিও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এ বিষয়ে ভিন্নমত পোষণ করেন। গত ২৯ আগস্ট তিনি সংসদে জানান, আইনে কারও ব্যক্তিগত অপরাধের দায়মুক্তি নেই। সরকারি কর্মচারীরা যাতে অহেতুক হয়রানির শিকার না হন, সেজন্য আইনে এ বিধানটি আছে। সিআরপিসির ১৯৭ ধারাতেও এটি আছে।

জনপ্রশাসনের কর্মকর্তারাও বলেন, এ আইনে বলা হয়েছে ‘দায়িত্ব পালনের সঙ্গে সম্পর্কিত’। এখন কেউ যদি দায়িত্বের বাইরে গিয়ে কোনো ফৌজদারি অপরাধ করেন, তাহলে তাকে গ্রেপ্তারে সরকারের কোনো অনুমতি নিতে হবে না। ঘুষ খাওয়া বা দুর্নীতি করা সরকারি কর্মচারীদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না। হত্যা বা অন্য কোনো ফৌজদারি অপরাধ কারও দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না।

কিন্তু সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, সরকারি কর্মচারীদের চাকরি থেকে অবসরে যাওয়ার আগ পর্যন্ত পুরোটাই তার দায়িত্বকালীন সময়। এ আইনের ফলে তারা যেকোনো ধরনের ফৌজদারি অপরাধে অনুমতি ছাড়া গ্রেপ্তার থেকে রেহাই পাচ্ছেন। এ সময় তদন্ত প্রভাবিত করতে পারেন। তিনি আসামি হয়েও বিশেষ সুবিধা পাচ্ছেন। এটা দেশের নাগরিকদের সঙ্গে বৈষম্য।

এদিকে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ১৯৭ ধারায় বলা আছে, কোনো সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধে চার্জশিট দিতে হলে নিয়োগকারী কর্র্তৃপক্ষের অনুমোদন লাগবে। এটাই যথেষ্ট ছিল। নতুন আইনের দরকার ছিল না।

হাল আমলের চরম বিতর্কিত ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টেও সুরক্ষা নেন আমলারা, যা সংশোধন নয়, পুরোপুরি বাতিলের দাবি জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো। মনজিল মোরসেদ বলেন, এ আইনটিও আমলাদের রক্ষাকবচ। কেউ তাদের সমালোচনা করলে তারা এ আইনে মামলা দিতে পারে। তাদের অনিয়ম নিয়ে সাংবাদিকরা লিখতেই পারেন। যেখানে সাংবাদিকদের ওপর আইনটি খড়্গ হিসেবে আসবে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত বিষয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটদের বিচারিক ক্ষমতা দেওয়া সংবিধানের লঙ্ঘন এবং তা বিচার বিভাগের স্বাধীনতার ওপর আঘাত বলে মনে করে উচ্চ আদালত। একজন নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে তারা প্রজাতন্ত্রের সার্বভৌম বিচারিক ক্ষমতা চর্চা করতে পারেন না বলে সংশ্লিষ্টদের অভিমত।

দেশে আইনপ্রণয়ন করেন মূলত আমলারাই! তারা খসড়া করেন। তা নিয়ে কখনো কখনো সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেন। তারপর সেটা পাঠিয়ে দেওয়া হয় মন্ত্রিপরিষদের কাছে। সেখানে পাস হলে তা পাঠিয়ে দেওয়া হয় আইন মন্ত্রণালয়ে। যাচাই-বাছাই করে ফেরত পাঠায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে। প্রয়োজন হলে তা আবার মন্ত্রিসভায় যায়। তা না হলে তা পৌঁছে যায় সংসদে।

আরও একটি উপায়ে আইনপ্রণয়ন হয়। বেসরকারি সদস্যরাও সংসদীয় বিধিবিধান অনুযায়ী বিল উপস্থাপন করতে পারেন। কিন্তু তা আমলে নেওয়া দেশের সংসদীয় ইতিহাসে বিরল। কাজেই আমলাদের খসড়ার ওপর ভিত্তি করেই আইন হয়। আর আমলাদের তৈরি করা খসড়া খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়ে পাস করার এত দীর্ঘ সময় কোথায় সংসদ সদস্যদের ক্ষোভের সঙ্গে জানান একজন আইনজীবী।

যেভাবেই প্রণয়ন হোক না কেন, আইন কোনোভাবেই সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হতে পারবে না। এ বিষয়ে সংবিধানের স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। তবে যদি কোনো আইন সাংঘর্ষিক হয়ে যায় তাহলে তা আপনা-আপনি বাতিল হবে না। যে অংশটুকু সাংঘর্ষিক সেটুকু বাতিল করতে কোনো নাগরিক বা সংস্থাকে হাইকোর্টে রিট করতে হবে। এ ছাড়া আদালত স্ব-প্রণোদিত হয়ে রুল জারি করতে পারে।

সংসদে পাঠানোর আগে খসড়া আইনকে পাঁচটি ধাপ পার হতে হয়। এতগুলো ধাপ পেরিয়ে সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বিধান থাকটা বিস্ময়কর। প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের আইন অধিশাখা সংশ্লিষ্ট খসড়া প্রণয়ন ও সমন্বয় করে। সাধারণত এ শাখার দায়িত্বে থাকেন একজন অতিরিক্ত সচিব। তার নেতৃত্বে যুগ্ম সচিব, উপসচিব বা সিনিয়র সহকারী সচিবও থাকেন। প্রশাসন ক্যাডারের যেসব কর্মকর্তার আইনি ব্যাকগ্রাউন্ড থাকে তাদেরই মূলত এ বিভাগে পদায়ন করা হয়। শিক্ষা জীবনে আইন বিষয় না থাকলেও এই কর্মকর্তাদের আইনের ওপর বিস্তর প্রশিক্ষণ থাকে। দেশ-বিদেশ থেকে তারা এ প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকেন। তাদের দৃষ্টি এড়িয়ে গেলেও আইন মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি এড়িয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কারণ তাদের কাজই হচ্ছে যে আইনের খসড়া করা হয়েছে তা প্রচলিত আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কি না তা খতিয়ে দেখা। এ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সংবিধান প্রায় মুখস্থ থাকে।

আইনের খসড়াকারী মন্ত্রণালয় বা আইন মন্ত্রণালয় ছাড়াও খসড়া মন্ত্রিসভায় তোলার উপযুক্ত কি না তা যাচাই-বাছাই করার জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কমিটি রয়েছে। তা ছাড়া খসড়াকারী মন্ত্রণালয় আইনটি নিয়ে সাধারণত আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক করে।

পাঁচ ধাপে ব্যাপক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর খসড়া আইনটিতে সংবিধান-স্বীকৃত মৌলিক অধিকারের সঙ্গে পুরোপুরি সাংঘর্ষিক ধারা ভুলক্রমেও থাকার কথা না। এ থেকে পরিষ্কার আমলাদের ক্ষমতায়িত করার জন্য যা করা হচ্ছে তা পরিকল্পনা করেই করা হচ্ছে।

বিসিএসে আনুকূল্য পেতে যেচে তথ্য দিয়ে বাদ পড়ার শঙ্কায় - dainik shiksha বিসিএসে আনুকূল্য পেতে যেচে তথ্য দিয়ে বাদ পড়ার শঙ্কায় ৬ষ্ঠ ও ৮ম শ্রেণির বাদপড়া শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ - dainik shiksha ৬ষ্ঠ ও ৮ম শ্রেণির বাদপড়া শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ দেশে আদর্শ ও নীতিবান শিক্ষকের সংখ্যা কমে যাচ্ছে: উপাচার্য এ এস এম আমানুল্লাহ - dainik shiksha দেশে আদর্শ ও নীতিবান শিক্ষকের সংখ্যা কমে যাচ্ছে: উপাচার্য এ এস এম আমানুল্লাহ জাল সনদে চাকরি করছেন এক বিদ্যালয়ের সাত শিক্ষক - dainik shiksha জাল সনদে চাকরি করছেন এক বিদ্যালয়ের সাত শিক্ষক কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক ছাত্র আন্দোলনে নি*হত ৯ মরদেহ তোলার নির্দেশ - dainik shiksha ছাত্র আন্দোলনে নি*হত ৯ মরদেহ তোলার নির্দেশ এসএসসির ফরম পূরণ শুরু ১ ডিসেম্বর - dainik shiksha এসএসসির ফরম পূরণ শুরু ১ ডিসেম্বর please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0037610530853271