এখনই নতুন রাজনৈতিক দল গঠন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নয় বলে জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। দল গঠনের আগে রাষ্ট্র সংস্কার প্রক্রিয়ায় আরো বেশি গুরুত্ব দিতে চায় তরুণদের এই প্ল্যাটফর্মটি। তবে বিদ্যমান রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি বলে নতুন রাজনৈতিক দলের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে বলে মত সংগঠনের সমন্বয়কদের।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট এসেছে কাঙ্ক্ষিত বিজয়। তবে এখনও বাকি রাষ্ট্র সংস্কার। এই গুরুদায়িত্বের ভারও তরুণদের কাঁধে। তাই এবার ছাত্ররাজনীতির পাশাপাশি জাতীয় রাজনীতিতেও তারুণ্যের পদচারণায় দূর হবে বৈষম্য, ফ্যাসিবাদ আর স্বৈরতন্ত্র- এমন প্রত্যাশা সাধারণ মানুষের।
রাষ্ট্র সংস্কারের প্রথম ধাপে তরুণরা কি নতুন রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম তৈরি করবে- এমন প্রশ্ন সবার মনে। তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের সাফ জবাব, রাজনৈতিক দল গঠনের বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তার আগেই সংস্কার করতে হবে দেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও বিচারব্যবস্থাসহ পুরো রাষ্ট্র কাঠামো।
শনিবার (১৭ আগস্ট) দেয়া সাক্ষাৎকারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ বলেন, রাজনৈতিক দল গঠন করার বিষয়টি আমরা এখনও আলোচনায়ই আনিনি। রাষ্ট্র এবং প্রতিষ্ঠানগুলো সংস্কার হোক, এগুলো শক্তিশালী হয়ে উঠুক, সেটাই এখন চাওয়া।
আরেক সমন্বয়ক আনিকা বুশরা বলেন, ‘রাজনৈতিক দল গঠন নিয়ে চিন্তাভাবনা করছি না। তবে রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে গঠনমূলক কাজগুলো করার চেষ্টা করছি। গণতন্ত্র উন্নত করার চেষ্টা করছি।’
বিদ্যমান রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। তাই রাজনৈতিক দল গঠনের জন্য জনগণের প্রত্যাশার চাপ রয়েছে জানিয়ে সমন্বয়করা বলছেন, সময়ই বাতলে দেবে তরুণদের এগিয়ে যাওয়ার গতিপথ।
এ বিষয়ে আব্দুল হান্নান মাসুদ বলেন, জনমনে প্রত্যাশা আছে যে, আমরা যেন একটা রাজনৈতি দল গঠন করি। যেহেতু অন্যান্য রাজনৈতিক দল আস্থা হারিয়েছে। অনেকে ভাবেন যে, তরুণদের মাধ্যমে একটা দল আসুক। তাই সেই বিষয়টিও আমরা বিবেচনায় রেখেছি।
এছাড়া রাষ্ট্রের রন্ধ্রে রন্ধ্রে থাকা ফ্যাসিবাদকে দূর করতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্ল্যাটফর্মকে সুসংগঠিত করার কাজ চলছে বলেও জানান এই সমন্বয়ক।