বৈষম্যের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার পরিবর্তনের পাশাপাশি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) দেয়ালের চেহারাও পাল্টে যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) প্রধান ফটক, শহীদ তজুমউদ্দিন আহমেদ সিনেট ভবনসহ ক্যাম্পাসের অন্যান্য এলাকাসহ সারা রাজশাহীর দেয়ালে প্রতিবাদ, দেশপ্রেম, সাম্য ও আত্মীয়তার বার্তা দিয়ে গ্রাফিতি আঁকা হচ্ছে।
‘সব ছাত্রকে মুক্ত করুন, উই আর টুগেদার বুলেটপ্রুফ, ব্লাডি বাংলাদেশ, লোহার আলমারি কে? আমার স্বাধীন দেশে কারো ঘর যেনো জ্বলে না এবং বিকল্প কে? আপনি, আমি, আমরা- এমন অনেক গ্রাফিতি আঁকা হয়েছে।
শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসন ভবনের সামনের দেয়ালে আঁকা একটি বিশাল গ্রাফিতিতে লেখা আছে, ‘তোমার বিচার করবে কে?’। বিশ্ববিদ্যালয়ের রাকসু ভবনের সামনের দেয়ালে গ্রাফিতিতে আঁকা হয়েছে ‘অ্যাকটিভ রাকসু’। ডক্টর এম এ ওয়াজেদ মিয়া একাডেমিক ভবনের সামনে লেখা হয়েছে ‘স্বৈরাচার অপসারণ’।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার শেষের দিকে অবস্থিত রুয়েটের দেয়ালে একটি গ্রাফিতিতে ‘৩৬ জুলাই’ সহ কোটা সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে সম্পর্কিত বেশ কয়েকটি ঘটনা চিত্রিত করা হয়েছে।
রাজশাহীর সিএনবি মোড় থেকে দক্ষিণ দিকের গণপূর্ত ভবনের দেয়ালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অসহযোগ আন্দোলনের গ্রাফিতিও আঁকা হয়েছে।
২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী নাফিসা তাবাসসুম বলেন, ‘স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারকে সরিয়ে দেশের প্রতিটি মানুষ নতুন বাংলাদেশ পেয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়সহ আমার দেশের অধিকাংশ বুদ্ধিজীবী ও প্রশাসন। শিক্ষক, এই সরকারের দাস ছিল। সুতরাং আমরা এই আমলাদের পদত্যাগে খুব খুশি। তাই আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনসহ বিভিন্ন একাডেমিক ভবনে গ্রাফিতি আঁকছি।
২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের অর্থনীতি বিভাগের ছাত্র সয়কত খান বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি সহ সব প্রশাসন ছিলো হাসিনা সরকারের দাস। তারা এই ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন করে এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতন চালায়। আমি আমার ছবি তুলে ধরছি। তাদের পদত্যাগে আমার মনে আনন্দে গ্রাফিতি।