রাজস্বখাতে নেয়ার দাবিতে সেসিপ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মসূচি চলবেই - দৈনিকশিক্ষা

রাজস্বখাতে নেয়ার দাবিতে সেসিপ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মসূচি চলবেই

দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক |

কর্মরত জনবলসহ সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রামের (সেসিপ) ১ হাজার ১৮৭টি পদ রাজস্বখাতে স্থানান্তরের দাবিতে লাগাতার কর্মসূচি পালন করবেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এরই অংশ হিসেবে সোমবার প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে অবস্থান ও শিক্ষা ভবনের গেটে তালা দেয়াসহ চার কর্মসূচি পালন করবেন তারা।

এদিকে রোববার সকালে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছেন প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। 

সোমবার ঘোষিত কর্মসূচিগুলো হলো: ১. মাউশি অধিদপ্তরের মূল দুটি গেটে তালা মারা, যাতে কোনো গাড়ি ভিতরে না ঢুকতে পারে। ২. সেসিপের ১১৮৭ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী কাজ বন্ধ রেখে আন্দোলনে অংশগ্রহণ। ৩. এডুকেশন ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (ইএমআইএস) সার্ভার বন্ধ করে দেয়া। ৪. দুপুরের পরে স্মারকলিপি ও আবেদন নিয়ে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা করে সেসিপের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়ে যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে অবস্থান।

এদিকে পূর্বেঘোষিত কর্মসূচি সফল করতে সারা দেশ থেকে ‘চরম বৈষম্যের শিকার’ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এসেছিলেন শিক্ষা ভবনে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা শিক্ষা ভবনেই থাকবেন বলে জানিয়েছেন।

কর্মকর্তারা বলছেন, বছরের পর বছর ধরে চরম বৈষম্যের শিকার সেসিপ কর্মকর্তারা দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন,  শিক্ষা মন্ত্রণালয়াধীন সেসিপ প্রোগ্রামে প্রায় ৩০ শতাংশ নারী কর্মরত। মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসগুলোতে চাকরিতে যোগদানের পর থেকে এখনো ইনক্রিমেন্টবিহীন স্কেলভিত্তিক বেতনে কর্মরত আছেন তারা। দেশে-বিদেশে প্রশিক্ষিত, ১০-২২ বছরের কাজের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন এই ১ হাজার ১৮৭ জনবলকে মানবেতর জীবন-যাপন থেকে মুক্তি দিতে পদগুলো জনবলসহ রাজস্বখাতে স্থানান্তরের দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস-এর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

তারা বলছেন, এসব পদ রাজস্ব খাতে স্থানান্তরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বাই নেইমে পদ সৃজনের সম্মতি দিলেও অর্থ মন্ত্রণালয় এ পদগুলো রাজস্বখাতে স্থানান্তর করার সম্মতি দেয়নি। এ পরিস্থিতিতে বিপাকে ১ হাজার ১৮৭টি পদের কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাই ওই পদগুলো রাজস্বখাতে স্থানান্তরের দাবিতে গত কয়েকবছরে একাধিক কর্মসূচি দিলেও দাবি মানা হয়নি। দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ায় তারা ঘেরাও কর্মসূচি দিয়েছেন। 

সেসিপ কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. আবদুল হাকিম বলছেন, সরকার ও এডিবি যৌথ অর্থায়নে ১৯৯৯ থেকে ২০০৭ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত সেসিপ প্রজেক্ট হাতে নেয়া হয়। সেসিপের ফলোআপ হিসেবে ২০০৭ থেকে ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দের জুন মেয়াদে এসইএসডিপি হাতে নেয়া হয় এবং এর ফলোআপ প্রজেক্ট হিসেবে সব কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দের জানুয়ারি থেকে সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম (সেসিপ) চালু করা হয়।

এই কর্মকর্তারা বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ, কারিকুলাম বাস্তবায়ন, হাতে-কলমে বিজ্ঞান শিক্ষা প্রসার, আইসিটিভিত্তিক শিক্ষার প্রসার, বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিও কার্যক্রম বিকেন্দ্রীকরণ, স্কুল মনিটরিং ও নিবিড় একাডেমিক সুপারভিশন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের ইএমআইএস সেল শক্তিশালীকরণ ও সফটওয়ারের সার্বিক তত্ত্বাবধান, সাধারণ শিক্ষা ধারার সঙ্গে চালু করা ভোকেশনাল ট্রেড কোর্স বাস্তবায়নে মনিটরিং, নকলমুক্ত পাবলিক পরীক্ষা আয়োজনে ট্যাগ অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

এ ছাড়াও জাতীয় নির্বাচনসহ সব পর্যায়ের নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন, বিজ্ঞান ও উন্নয়ন মেলা আয়োজন, জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহের বিভিন্ন ইভেন্ট পরিচালনা, শিক্ষকদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ আয়োজনসহ প্রশিক্ষণে মাস্টার ট্রেইনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। শিক্ষার্থীদের করোনা টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়নের মতো জাতীয় কার্যক্রমে সেসিপের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন। নতুন শিক্ষাক্রমের উপযোগিতা যাচাইয়ের পাইলটিং কার্যক্রমসহ শিক্ষকদের প্রশিক্ষণে মাস্টার ট্রেইনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।

কমিটির সভাপতি আবদুল হাকিম আরো বলেন, চরম বৈষম্যের শিকার আমরা এবার দাবি আদায় করেই কেবল ঘরে ফিরবো।  

 

এইচএসসিতে বরিশাল বোর্ডে জিপিএ-৫ বেড়েছে ২৯ - dainik shiksha এইচএসসিতে বরিশাল বোর্ডে জিপিএ-৫ বেড়েছে ২৯ পুরনো পদ্ধতিতে ফিরছে বৃত্তি পরীক্ষা - dainik shiksha পুরনো পদ্ধতিতে ফিরছে বৃত্তি পরীক্ষা শিক্ষায় কী হলো তিন মাসে - dainik shiksha শিক্ষায় কী হলো তিন মাসে মাদরাসায় চলে যায় প্রাথমিকের ২৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ শিক্ষার্থী - dainik shiksha মাদরাসায় চলে যায় প্রাথমিকের ২৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ শিক্ষার্থী কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক অবশেষে কপাল খুললো পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে বাদপড়াদের - dainik shiksha অবশেষে কপাল খুললো পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে বাদপড়াদের শিক্ষক নিবন্ধন ভাইভা: ১৫তম দিনে যেসব প্রশ্নের মুখোমুখি - dainik shiksha শিক্ষক নিবন্ধন ভাইভা: ১৫তম দিনে যেসব প্রশ্নের মুখোমুখি কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে গণঅভ্যুত্থানে আহতদের তোপের মুখে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা - dainik shiksha গণঅভ্যুত্থানে আহতদের তোপের মুখে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা দপ্তরসহ সাবেক শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রীকে চালাতেন পিয়ন! - dainik shiksha দপ্তরসহ সাবেক শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রীকে চালাতেন পিয়ন! ৬১০ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীর শিক্ষা অধিদপ্তরে নিয়োগ চূড়ান্ত! - dainik shiksha ৬১০ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীর শিক্ষা অধিদপ্তরে নিয়োগ চূড়ান্ত! দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0037481784820557