আন্দোলনরত পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তোপের মুখে পড়েন নতুন আইজিপি মো. ময়নুল ইসলাম।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে এই ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ সদস্যদের দাবিগুলো নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আলোচনার করার প্রস্তাব জানিয়েছিলেন আইজিপি। কিন্তু তাৎক্ষণিকভাবে তার এই প্রস্তাবকে প্রত্যাহার করে আন্দোলনরত পুলিশ সদস্যরা বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাকে রাজারবাগে এসে সৃষ্ট সমস্যার সমাধান করতে হবে।
পুলিশ বৈষম্যবিরোধী কমিটির অন্যতম সমন্বয়ক কনস্টেবল শোয়াইবুর রহমান জানান, আমাদের জীবনের নিরাপত্তা না পাওয়া পর্যন্ত কাজে ফিরবে না। প্রয়োজনে পুলিশের নাম, পোশাক সব সংস্কার করতে হবে। পুরো পুলিশ বাহিনী সংস্কার করে নতুন বাহিনী করতে হবে। এই বাহিনীর ঘোষণা দিবে আন্দোলনের সমন্বয়করা। এক্ষেত্রে আমরা আইজিপি স্যারের কথাও শুনবো না।
এর আগে শুক্রবার (৯ আগস্ট) সকালে তেজগাঁও থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, কর্মবিরতী দেওয়া পুলিশ সদস্যদের অধিকাংশই কাজে ফেরেনি। কাজে ফেরানোর জন্য রাজারাবাগ পুলিশ লাইন্স মিলনায়তনে আন্দলোনরত পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। কিন্তু বর্তমান সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল(অবঃ) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন প্রধান অতিথী হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও তিনি যাননি। তার পরিবর্তে পুলিশ মহাপরিদর্শক(আইজিপি) মোঃ ময়নুল ইসলাম ও র্যাবের মহাপরিচালক একে এম শহিদুর রহমান ও ডিএমপি কমিশনার মাইনুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ঢাকার ২৯ থানার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রতিটি থানায় পুলিশ সদস্যদের সহায়তায় থাকছে সেনা সদস্যরা। তবে ১১ দফা দাবিতে আন্দলন করা পুলিশ সদস্যরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করবেনা বলে জানিয়েছ আন্দোলনরত পুলিশ সদস্যরা।