দৈনিক শিক্ষাডটকম, রাবি : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৩-২৪ সেশনের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ‘এ’ ইউনিটের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে গত ১৩ মার্চ বিকেলে। তবে প্রকাশিত ফলাফলে কম নম্বর দেয়ার অভিযোগ তুলেছেন এই ইউনিটের ভর্তিচ্ছু অনেক শিক্ষার্থী। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উঠেছে সমালোচনার ঝড়।
এদিকে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা এই ফল অপ্রত্যাশিত অ্যাখ্যা দিয়ে পুনর্মূল্যায়নের দাবি জানিয়েছেন। ভর্তিচ্ছুদের অভিযোগ, পরীক্ষার পর তারা বিভিন্ন বই থেকে প্রশ্নোত্তর খুঁজে বের করেছেন। কিন্তু প্রকাশিত ফলাফলে তারা প্রত্যাশিত নম্বর পাননি।
এমনকি একই শিফটে পরীক্ষা দেয়া সহপাঠীদের সঙ্গেও উত্তর মিলিয়ে দেখেছেন কিন্তু একই উত্তর করে ১০-১৫ নম্বর পার্থক্য হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ বলছেন, কারো প্রতি কোনো বৈষম্য করা হয়নি। তবে প্রকাশিত ফলাফল নিয়ে কারো সংশয় থাকলে লিখিত অভিযোগ জমা দিলে তাদের ওএমআরশিট পুনরায় যাচাই করা হবে।
প্রথমবার পরীক্ষা দিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আরবি বিভাগে ভর্তি হয়েছেন শরিফুল ইসলাম। দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে কাঙ্ক্ষিত নম্বর না পাওয়ার অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, আমার ৫৮.৭৫ নম্বর আসার কথা। এটা বহুভাবে মিলিয়ে দেখেছি। এর কম আসার সম্ভাবনা নেই। কিন্তু আমি পেয়েছি ৪৬.৫। যা খুবই অপ্রত্যাশিত।
খুলনা থেকে ভর্তিচ্ছু সাদিয়া আক্তার বর্ষা বলেন, প্রশ্নের উত্তর মিলিয়ে দেখেছি। আমার ৭৮ নম্বর আসে কিন্তু পেয়েছি ৬৩ নম্বর। আমার মনে হয়, প্রতি প্রশ্নের মান ১ ধরে আমার ওএমআর মূল্যায়ন করা হয়েছে। তাছাড়া এমনটা হওয়ার কথা নয়।
‘১৫ মার্কের মতো কম আসছে আমার। এটা পুরোপুরি অপ্রত্যাশিত ছিলো৷ এটা মানা যায় না। তৃতীয় শিফটে ১৫ নাম্বারের বিলম্ব মানে একটা ছাত্রের জন্য অনেক বড় ক্ষতি।’ লিখেছেন, মোহাম্মদ সামিউল নামের আরেক শিক্ষার্থী।
গোলাম আজম নামের এক শিক্ষার্থী লিখেছেন, আমি ‘এ’ ইউনিটের প্রথম শিফটে পরীক্ষা দিয়েছি। যেখানে আমার নাম্বার ৫৮+ হওয়ার কথা সেখানে ফেল আসছে। কীভাবে সম্ভব? হতে পারে ৪/৫ মার্কস বাদ যাবে। সেখানে ২০ মার্ক নাই!
ইসতিয়াক আহম্মেদ তাওহীদ লিখেছেন, আমি ‘এ’ ইউনিটের দ্বিতীয় শিফটে পরীক্ষা দিয়েছি। আমার ১২ নম্বর কম আসছে।
রাবি প্রশাসনের কাছে বিনীতভাবে অনুরোধ করছি, আপনারা দয়া করে আর একটিবার রেজাল্টটা চেক দেন। ত্রুটি হতেই পারে, এ বিষয়টি খতিয়ে দেখে দ্রুত সমাধানের ব্যবস্থা করুন প্লিজ!
জানতে চাইলে ‘এ’ ইউনিটের সমন্বয়ক একরাম উল্যাহ বলেন, যথাযথ সতর্কতার সঙ্গেই অন্তত ৩০ বারের বেশি যাচাই করে সকল পরীক্ষার্থীর ওএমআরশিট মূল্যায়ন করা হয়েছে। এতে ভুল হওয়ার কথা নয়। তবে প্রকাশিত ফলাফল নিয়ে কারো সংশয় থাকলে লিখিত অভিযোগ জমা দিলে তাদের ওএমআর শিট আবার যাচাই করা হবে। তবে প্রকাশিত ফলাফলে কোনো বৈষম্য করা হয়নি।