আর্থিক দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চিত্রকলা, প্রাচ্যকলা ও ছাপচিত্র বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সুজন সেনকে সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎসহ নানা দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে।
সোমবার বিভাগের একাডেমিক কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মো. বনি আদম বলেন ‘সোমবার ড. সুজন সেনের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দেয়৷ পরবর্তীতে তারা বিভাগের কাছে আবেদন করে যে তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত যেনো অভিযুক্ত শিক্ষক কোনো প্রকার একাডেমিক কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত না থাকে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে একাডেমিক কমিটির সর্বসম্মতিক্রমে তাকে সাময়িক অব্যহতি দেয়া হয়েছে।'
এর আগে গত ৮ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকীবের কাছে ড. সুজন সেনের বিরুদ্ধে সাত পৃষ্ঠার লিখিত অভিযোগসহ বেশকিছু তথ্যাদি জমা দেয় শিক্ষার্থীরা। তাদের অভিযোগ ড. সুজন সেন একজন স্বেচ্ছাচারী, অযোগ্য, প্রতারক ও দুর্নীতিবাজ শিক্ষক। বিভাগে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অশোভনীয় আচরণ, শহীদ জিয়াউর রহমান হলে প্রাধ্যক্ষের দায়িত্ব পালনকালে অর্থ আত্মসাৎসহ ব্যাপক দুর্নীতি এবং প্রাধ্যক্ষ পরিষদের আহ্বায়ক থাকা অবস্থায় দুর্নীতির অভিযোগ করেন তারা। এছাড়া তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে স্বশরীরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিপরীতে অবস্থান নেন বলে জানান তারা।
অভিযোগে সেই শিক্ষককে চাকরিচ্যুত ও অপসারণের দাবি জানান তারা। একইসঙ্গে তদন্ত চলাকালীন ড. সুজন সেনকে যেনো বিভাগের কোনো ধরনের একাডেমিক কার্যক্রমে না থাকেন সেজন্য বিভাগের সভাপতির কাছে আবেদন করেন শিক্ষার্থীরা। তার প্রেক্ষিতে এবার বিভাগের একাডেমিক কমিটির মিটিংয়ে নেয়া সিদ্ধান্তে ড. সুজন সেনকে বিভাগের সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।