রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ১০ হলের প্রাধ্যক্ষসহ ৩৮ আবাসিক শিক্ষক পদত্যাগ করেছেন। বৃহস্পতিবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক তারিকুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রেজিস্ট্রার বলেন, ‘ব্যক্তিগত কারণেই অধিকাংশ প্রাধ্যক্ষ ও আবাসিক শিক্ষক পদত্যাগ করেছেন। অনেকেই পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন এবং মৌখিকভাবেও অনেকেই জানিয়েছেন আমাকে।’
পদত্যাগ করা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল প্রাধ্যক্ষরা হলেন রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জয়ন্তী রাণী বসাক, রহমতুন্নেসা হলেন প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক হাসনা হেনা, তাপসী রাবেয়া হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জুয়েলী বিশ্বাস, খালেদা জিয়া হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক হোসনে আরা খানম, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ফারজানা কাউয়ুম কেয়া, মন্নুজান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক রাশিদা খাতুন, শহিদ জিয়াউর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক নাসির উদ্দীন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সাইখুল ইসলাম (মামুন জিয়াদ), শহীদ হবিবুর রহমান হলের শরিফুল ইসলাম ও মাদার বখশ হলের মো. রুকনুজ্জামান।
এছাড়া পদত্যাগ করা আবাসিক শিক্ষকরা হলেন রোকেয়া হলের আবাসিক শিক্ষক ড. দুলাল চন্দ্র কবিরাজ, সোমা দেব ও ড. মতিকুল ইসলাম, বঙ্গমাতা হলের ড. সুমনা সরকার ও ড. ইশতিয়াক মাহফুজ, রহমতুন্নেসা হলের আবাসিক শিক্ষক ড. শারমিন আখতার ও কে এম সাব্বির, জিয়া হলের আবাসিক শিক্ষক তপন কুমার বর্মণ, হেমন্ত কুমার ভদ্র, আব্দুর রশিদ ও উমর ফারুক, তাপসী রাবেয়া হলের আবাসিক শিক্ষক তামজিদ হোসেন, রাকিকুল ইসলাম, রাদিয়া আউয়াল তৃষা ও উমর ফারুক, খালেদা জিয়া হলের আবাসিক শিক্ষক শেখ সেমন্তী, আইরিন চৌধুরী ও সঞ্জয় কুমার, মন্নুজান হলের আবাসিক শিক্ষক ড. খাইরুল ইসলাম, ড. মাহমুদা, ড. শামীম হোসেন ও ড. ইসমাইল হোসেন, শহিদ হবিবুর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষক অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম, অধ্যাপক আশিক শাহরিয়ার, সহযোগী অধ্যাপক ছালেকুজ্জামান খান, সহকারী অধ্যাপক আরমান হোসেন এবং মাদার বখশ হলের সালেহ মোহাম্মদ তোহা।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার ও দুই উপ-উপাচার্য, ছাত্র উপদেষ্টা, প্রক্টর, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকসহ ৩১ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পদত্যাগ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার তারিকুল হাসান ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত বর্তমান প্রশাসনের ৬৯ জন পদত্যাগ করেছেন।