রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ : এক বছরে টাকার মান কমেছে ২৫ শতাংশ - দৈনিকশিক্ষা

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ : এক বছরে টাকার মান কমেছে ২৫ শতাংশ

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি যেদিন রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে, সেদিন টাকা-ডলারের বিনিময় হার ছিল ৮৬ টাকা। অর্থাৎ তখন এক ডলারের জন্য লাগত ৮৬ টাকা। আর গতকাল বৃহস্পতিবার প্রতি ডলারের জন্য হাতে গুণে ১০৭ টাকা খরচ করতে হয়েছে। এ হিসাবে দেখা যাচ্ছে, এই এক বছরে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিধর রাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রা ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি মুদ্রার মান কমেছে প্রায় ২৫ শতাংশ। এক বছরে টাকার এই ব্যাপক দরপতন বাংলাদেশের ইতিহাসে আগে কখনোই হয়নি।  শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দৈনিক বাংলা পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদনটি লিখেছেন আবদুর রহিম হারমাছি।

প্রশ্ন হচ্ছে, কেন এই পতন? কেন দুর্বল থেকে দুর্বলতর হয়েছে টাকা। উত্তর একটাই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এই যুদ্ধই টাকার মান টেনেহিঁচড়ে নিচের দিকে নামিয়েছে। আর তার মাশুল দিতে হয়েছে গোটা অর্থনীতিকে; এখনো দিতে হচ্ছে। ওলটপালট হয়ে গেছে সব হিসাবনিকাশ। তছনছ হয়ে গেছে সবকিছু। সামাল দিতে সরকারকে কৃচ্ছ্রসাধনের পথ বেছে নিতে হয়েছে। নিজস্ব অর্থে স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মাণ করে বিশ্ববাসীকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল যে বাংলাদেশ, সেই দেশটিকেই হাত পাততে হয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে; নানা শর্তে নিতে হয়েছে ঋণ। ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের আলোচিত এই ঋণের প্রথম কিস্তি ৪৭ কোটি ৬০ ডলার পাওয়াও গেছে। কিন্তু তারপরও সংকট কাটছে না। 

দুই বছরের করোনা মহামারির ধাক্কা সামলে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছিল বাংলাদেশের অর্থনীতি। পদ্মা সেতুকে ঘিরে দেশে বিনিয়োগের একটি আবহ তৈরি হয়েছিল। দেশি বিনিয়োগের পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগও বাড়ছিল। বিনিয়োগ বৃদ্ধির অন্যতম প্রধান নিয়ামক বেসরকারি খাতের ঋণপ্রবাহের প্রবৃদ্ধি অনেক দিন পর ১৪ শতাংশ ছাড়িয়ে গিয়েছিল। মূলধনী যন্ত্রপাতি (ক্যাপিটাল মেশিনারি) আমদানিও বাড়ছিল। রপ্তানি বাণিজ্যে উল্লম্ফন দেখা দিয়েছিল; প্রতি মাসেই বাড়ছিল আয়। অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গত ২০২১-২২ অর্থবছরে পণ্য রপ্তানি থেকে ৫২ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিদেশি মুদ্রা দেশে এসেছিল; বেশ ফুরফুরে মেজাজে ছিলেন রপ্তানিকারকরা। প্রথমবারের মতো ১০ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিদেশি ঋণ-সহায়তা দেশে এসেছিল। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সও বাড়ছিল। আর এসব কারণে বর্তমান বিশ্ব প্রেক্ষাপটে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর সূচক বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গিয়েছিল। অর্থনীতির অন্য সূচকগুলোও ইতিবাচক ধারায় ফিরেছিল।

কিন্তু ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে; লেগে যায় যুদ্ধ। সেই যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলোও জড়িয়ে পড়ে, সরাসরি ইউক্রেনের পক্ষে অবস্থান নেয়। অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করে, এখনো করছে। আর সেই যুদ্ধের প্রভাব বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে এক লাফে ব্যারেল প্রতি ১৩৯ ডলারে উঠে যায়। খাদ্যপণ্যসহ সব ধরনের জিনিসপণ্যের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যায়। জাহাজভাড়া বেড়ে যায় আড়াই থেকে তিন গুণ। দেশে দেশে চড়তে থাকে মূল্যস্ফীতির পারদ। ৪০ বছরের মধ্যে আমেরিকার মূল্যস্ফীতি প্রায় ১০ শতাংশে গিয়ে ওঠে। যুক্তরাজ্যের মূল্যস্ফীতি ১২ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়।

এরই মধ্যে চলতি বছরের ২ জানুয়ারি আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা আতঙ্কের কথা জানিয়ে বলেন, ‘চলতি বছর বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ দেশ মন্দার মধ্যে পড়বে। গত বছরের তুলনায় ২০২৩ সাল কঠিন হবে। কারণ যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) অর্থনীতির গতি ইতিমধ্যে মন্থর হয়ে পড়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি, সুদ হার বেড়ে যাওয়া ও চীনে নতুন করে করোনাভাইরাসের বিস্তার বিশ্ব অর্থনীতিকে হুমকির মুখে ফেলেছে।’

আইএমএফের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে বিশ্ব অর্থনীতিতে জিডিপির প্রবৃদ্ধি হবে ২ দশমিক ৭ শতাংশ, ২০২২ সালে যা ছিল ৩ দশমিক ২ শতাংশ। তবে সংস্থাটি মনে করে, প্রবৃদ্ধির হার আরও কমে ২ শতাংশের নিচে নেমে যাওয়ার আশঙ্কাও আছে।

কেমন আছে বাংলাদেশ

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে; বলা যায়, বেশ ভালোভাবেই পড়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলসহ সব ধরনের খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় দেশে মূল্যস্ফীতি আরও বাড়ার প্রবণতা ছিল। ঠিক এ রকম একসময়ে গত বছরের ৫ আগস্ট সরকার জ্বালানি তেলের দাম ৪২ থেকে ৫১ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ায়। এর পরপরই বাড়ানো হয় সব ধরনের পরিবহন ভাড়া। এই দুইয়ের প্রভাবে বেড়ে যায় প্রায় সব পণ্যের দাম। গত ২৯ আগস্ট জ্বালানি তেলের দাম লিটারে ৫ টাকা কমানো হলেও বাজারে তার প্রভাব ছিল না বললেই চলে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্যে দেখা যায়, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ। জ্বালানি তেলের দাম ৫০ শতাংশের মতো বৃদ্ধি করার কারণে আগস্টে তা এক লাফে বেড়ে ৯ দশমিক ৫২ শতাংশে উঠে যায়। সেপ্টেম্বরে অবশ্য তা কমে ৯ দশমিক ১০ শতাংশে নেমে আসে। অক্টোবরে তা আরও কমে ৯ শতাংশের নিচে ৮ দশমিক ৯১ শতাংশে নেমে আসে। নভেম্বরে মূল্যস্ফীতি হয় ৮ দশমিক ৮৫ শতাংশ। ডিসেম্বরে তা কমে ৮ দশমিক ৭১ শতাংশে নেমে এসেছে। সবশেষ চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে তা আরও কমে ৮ দশমিক ৫৭ শতাংশে নেমে এসেছে।

করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে আমদানি ব্যয়। রপ্তানি বাড়লেও কমতে থাকে রেমিট্যান্স। রিজার্ভও কমতে থাকে। বাজারে ডলারের চাহিদা বেড়ে যায়; বাড়তে থাকে দাম। বাজার স্থিতিশীল রাখতে গত বছরের আগস্টে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি শুরু করে বাংলাদেশ ব্যাংক, চলে পুরো অর্থবছর; মোট বিক্রি করা হয় ৭ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলার। সেই ধারাবাহিকতায় চাহিদা মেটাতে চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরেও ডলার বিক্রি অব্যাহত রেখেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক; গড়েছে রেকর্ড। গতকাল পর্যন্ত ৭ মাস ২৩ দিনে (২০২২ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২৩ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি) প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করা হয়েছে।

অথচ ২০২০-২১ অর্থবছরে বাজারে ডলারের সরবরাহ বাড়ায় দর ধরে রাখতে রেকর্ড প্রায় ৮ বিলিয়ন ডলার কিনেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ওই সময় রিজার্ভ যে ৪৮ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করেছিল, তাতে ডলার কেনার অবদান ছিল।

গতকাল দিন শেষে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৩২ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন ডলার। এক বছর আগে গত বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি রিজার্ভ ছিল ৪৫ দশমিক ৮৪ বিলিয়ন ডলার। এক বছরের ব্যবধানে রিজার্ভ যে ১৩ বিলিয়ন ডলারের বেশি কমেছে, তাতে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি অন্যতম প্রধান একটি কারণ বলে জানান অর্থনীতির গবেষক আহসান এইচ মনসুর।

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক এবং দীর্ঘদিন আইএমএফের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করে আসা আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘ডলারের অস্থির বাজারই আসলে আমাদের অর্থনীতির সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে। এক লাফে টাকার ২৫ শতাংশ দরপতন ধারণ করার মতো ক্ষমতা আমাদের অর্থনীতির ছিল না। আমরা সবচেয়ে বড় যে ভুলটা করেছিলাম, সেটা হলো দুই বছরের বেশি সময় আমরা টাকা-ডলারের বিনিময় হার ৮৪ টাকায় আটকে রেখেছিলাম। সেটা না করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো ধীরে ধীরে যদি আমরা আমাদের টাকার অবমূল্যায়ন করতাম, তাহলে এতো বড় ধাক্কা লাগত না।’

তিনি বলেন, ‘আমরা কিন্তু আরেকটি ভুল করেই চলেছি। ঋণের সুদের হার ৯ শতাংশে আটকে রেখে আমরা ঠিক কাজটি করছি না। এটাকে ছয়-মাস এক বছরের জন্য হলেও বাজারের ওপর ছেড়ে দিতে হবে। অর্থাৎ বাজারে টাকার সহজপ্রাপ্তি কমাতে হবে; টাকাকে শক্তিশালী করতে হবে। তা না হলে মূল্যস্ফীতি সহনীয় রাখা যাবে না। বিদেশি মুদ্রার বাজারও স্বাভাবিক হবে না। একটা কথা আমাদের সবার মনে রাখতে হবে, যুদ্ধটা কিন্তু এখনো শেষ হয়নি; চলছে। কবে শেষ হবে কেউ কিছু বলতে পারছে না। এর প্রভাব বিভিন্ন দেশের মতো আমাদের ওপরও প্রতি মুহূর্তে পড়ছে। তাই আমাদের বিশ্ব পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়েই সব সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’

আহসান মনসুর বলেন, ‘আশার কথা হচ্ছে, অল্প সময়ের মধ্যে আমরা আইএমএফের ঋণের প্রথম কিস্তিটা পেয়ে গেছি। তবে তারা যেসব সংস্কারের কথা বলেছে, সেগুলো কিন্তু চালিয়ে যেতে হবে, না হলে পরবর্তী কিস্তিগুলো আটকে যেতে পারে। একইসঙ্গে সংকট কাটাতে বিশ্বব্যাংক, এডিবি, জাইকাসহ অন্যান্য দাতা সংস্থার কাছ থেকে যে ঋণ চাওয়া হয়েছে সেগুলো পাওয়া নিশ্চিত করতে হবে। রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্সে যে ইতিবাচক ধারা চলছে তা ধরে রাখতে হবে। তাহলে আমাদের রিজার্ভের ওপর চাপটা আর বেশি পড়বে না। করোনা মহামারির মতো যুদ্ধের ধাক্কা মোকাবিলা করে আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারব।’

তিনি বলেন, ‘খাদ্য নিয়ে দেড়-দুই বছর আমাদের কিন্তু খুব একটা চিন্তা নেই। আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। সরকারের গুদামে ২০ লাখ টনের বেশি মজুত আছে। বোরো মৌসুমের চাষাবাদ শুরু হয়ে গেছে। আমনের মতো বেরোর ফলন ভালো হলে স্বস্তিতে থাকব আমরা। অসহায় গরিব মানুষকে সহায়তা দিতে সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় বিভিন্ন কর্মসূচি চালিয়ে যেতে হবে। সার্বিকভাবে বলা যায়, ডলারের বাজারটা যদি আমরা স্বাভাবিক করতে পারি, মূল্যস্ফীতি সহনীয় রাখতে পারি, রিজার্ভের পতনটা টেকাতে পারি, তাহলে আস্তে আস্তে অর্থনীতিতে স্বস্তি ফিরে আসবে।’

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘যুদ্ধের প্রভাব আমাদের অর্থনীতিতে পড়েছে, এটা আমি অকপটে স্বীকার করছি। এটাও বলছি, এই চাপ বা সংকট মোকাবিলার জন্য আমাদের সরকার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আমদানি ব্যয়ের লাগাম টেনে ধরতে বিলাসবহুল ও অপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি কমাতে আমরা নানা পদক্ষেপ নিয়েছি। সেই সঙ্গে সরকারের অন্যান্য ব্যয় কমাতেও নানা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে; এখনো নিচ্ছি। আমাদের মূল্যস্ফীতি কিন্তু নিম্নমুখী হয়েছে। পাঁচ মাস ধরে কমছে। ডলারের বাজার স্বাভাবিক করতেও বাংলাদেশ ব্যাংক নানা ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে। ফলও পাওয়া যাচ্ছে। বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেল, খাদ্য পণ্যসহ অন্যান্য পণ্যের দাম বেশ খানিকটা কমেছে। আশা করছি আমরা যুদ্ধের ধাক্কা থেকে দ্রুত বের হয়ে আসতে পারব।’

তিনি বলেন, ‘একটা বিষয় কিন্তু সবার মনে রাখতে হবে। আমাদের অর্থনীতিতে চাপ আছে, কিন্তু অনেক দেশের চেয়ে কিন্তু অনেক ভালো অবস্থায় আছি আমরা। শুধু পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা নয়, অন্য অনেক দেশের চেয়েও ভালো আছি আমরা।’

৬ষ্ঠ ও ৮ম শ্রেণির বাদপড়া শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ - dainik shiksha ৬ষ্ঠ ও ৮ম শ্রেণির বাদপড়া শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ ‘ভুয়া প্রতিষ্ঠাতা’ দেখিয়ে কলেজ সভাপতির প্রস্তাব দিলেন ইউএনও - dainik shiksha ‘ভুয়া প্রতিষ্ঠাতা’ দেখিয়ে কলেজ সভাপতির প্রস্তাব দিলেন ইউএনও বেরোবি শিক্ষক মনিরুলের নিয়োগ বাতিল - dainik shiksha বেরোবি শিক্ষক মনিরুলের নিয়োগ বাতিল এমপিও না পাওয়ার শঙ্কায় হাজারো শিক্ষক - dainik shiksha এমপিও না পাওয়ার শঙ্কায় হাজারো শিক্ষক কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক জাল সনদে শিক্ষকতা করা আরো ৩ জন চিহ্নিত - dainik shiksha জাল সনদে শিক্ষকতা করা আরো ৩ জন চিহ্নিত এসএসসি ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দের ফরম পূরণের পূর্ণাঙ্গ বিজ্ঞপ্তি দেখুন - dainik shiksha এসএসসি ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দের ফরম পূরণের পূর্ণাঙ্গ বিজ্ঞপ্তি দেখুন কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0036790370941162