ঈদযাত্রায় বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কে কোনো যানবাহন বিকল হলে তাৎক্ষনিকভাবে তা মেরামত করার ব্যবস্থা করবে পুলিশ। এর পাশাপাশি যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার পাশাপাশি মহাসড়কে ডাকাতি, ছিনতাই ঠেকানো ও দুর্ঘটনা রোধের বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া যানবাহনের বেপরোয়া গতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের কাছে থাকবে স্পিডগানও।
হাইওয়ে পুলিশের প্রধান ও অতিরিক্তি আইজিপি শাহাবুদ্দিন খান বলেন, চলতি পথে গাড়ির ছোটখাট কোনো সমস্যা দেখা দিলে পুলিশ মেরামতের ব্যবস্থা করে দেবে। বড় ধরনের সমস্যা হলে রেকারের মাধ্যমে দ্রুত অন্যত্র সরিয়ে নেব। গাড়ি মেরামতের জন্য লোকাল জনপথে থাকা গ্যারেজ মিস্ত্রির তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। পরিবহন মালিক ও শ্রমিকসহ সবাই মিলে সমন্বয় করার চেষ্টা করেছি।
এদিকে হাইওয়ে পুলিশ, ডিআইজি ঢাকা রেঞ্জের পদস্থ কর্মকর্তারা ছাড়াও জেলা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ছোট ছোট ভাগে বুধবার সকাল থেকে মহাসড়কের পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন।
নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে পরিদর্শনে এসে আশুলিয়ার বাইপাইলে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন হাইওয়ে পুলিশপ্রধান। তিনি বলেন, ঈদের আগের যাত্রার তুলনায় ঈদের পর যখন লোকজন ঢাকায় ফেরেন এ সময় দুর্ঘটনা বেশি হয়। কারণ ঈদের পর ধীরে ধীরে ফিরতে শুরু করে। রাস্তা ফাঁকা থাকায় অনেকে বেপরোভাবে গাড়ি চালান। আবার আঞ্চলিক সড়কেও অনেক দুর্ঘটনা ঘটে। তবে ঈদের দেড়-দুই মাস আগে থেকেই লক্কর-ঝক্কর ও ফিটবিহীন যানবাহনের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক অভিযান করেছি। এতে চালক-মালিকদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি হয়েছে। এর সুফল এবার ঈদের পাওয়া যেতে পারে।
তিনি আরও বলেন, যানজট এড়াতে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের ধৈর্য ধরা ও দায়িত্বশীল আচরণ করা জরুরি। সড়ক-মহাসড়কের যানজট প্রবণতা বা চ্যালেঞ্জিং জায়গাগুলো চিহ্নিত করে সেখানে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। অ্যাম্বুলেন্স ও রেকারগুলো প্রস্তুত রয়েছে। আমাদেরও ব্যাপক প্রস্তুতি রয়েছে।
ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেন, মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরতে পারে এটা নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য। বুধবার পর্যন্ত নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরছেন মানুষ। বৃহস্পতিবার পোশাক কারখানা ছুটি হলে সড়কে হঠাৎ চাপ পড়তে পারে। তাই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
একাধিক উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা বলেন, ঢাকা রেঞ্জের পক্ষ থেকে স্বতন্ত্র নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। এ ছাড়া মহাসড়কের আশপাশে প্রত্যেক জেলায় পৃথক নিয়ন্ত্রণ কক্ষ রয়েছে। আর মহাসড়ক পরিস্থিতির সর্বশেষ অবস্থায় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করতে ফোকাল পয়েন্ট অফিসার নিয়োগ দেওয়া হয়। ঢাকা রেঞ্জের তিনজন অতিরিক্ত ডিআইজিকে তাদের এলাকার আওতাধীন মহাসড়কের যান চলাচল পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয়।