জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার রায়কালী উচ্চবিদ্যালয়ে স্টীলের আলমিরা ও লাইব্রেরির বইপত্র ক্রয়ের বিল-ভাউচার থাকলেও নেই সেই উপকরণগুলো। দুটি খাতের বরাদ্দের ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকার বিল-ভাউচারের সবই ভুয়া।
পারফরমেন্স বেজড গ্রান্টস ফর সেকেন্ডারি ইন্সটিটিউশনস (PBGSI) স্কিমের আওতায় খরচের টপশিটে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি আব্দুল জলিল প্রামাণিকের স্বাক্ষরও জাল করেছে প্রধানশিক্ষক বেলাল উদ্দিন মন্ডল। এঘটনায় বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি আব্দুল জলিল প্রামাণিক শিটে তার স্বাক্ষর জাল করার ঘটনাটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানিয়েছেন। ওই ঘটনার পর ভুয়া বিল-ভাউচারে সরকারি বরাদ্দের টাকা উত্তোলনের ঘটনাটি বিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষক-কর্মচারীরা জানতে পারেন। হেনস্তা ও হয়রানির হওয়ার ভয়ে তারা কেউই প্রধান শিক্ষকের এমন দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কথা বলতে চাননি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ পারফরমেন্স বেজড গ্রান্টস ফর সেকেন্ডারি ইন্সটিটিউশনস (PBGSI) স্কিমের আওতায় স্কুল-কলেজ-মাদরাসায় ৫ লাখ টাকা অনুদান দেয়। এই অনুদানের টাকা পাঁচটি খাতে ব্যয় করার কথা বরাদ্দ পত্রে উল্লেখ করা হয়। এরমধ্যে রয়েছে ১ লাখ টাকা শিক্ষকদের প্রণোদনা, দেড় লাখ টাকার বইপত্র, লাইব্রেরি, শিক্ষা উপকরণ এবং গবেষণাগারের সরঞ্জাম ইত্যাদি ক্রয় ১ লাখ ২৫ হাজার টাকায় ছাত্রীদের জন্য ফ্যাসিলিটির অবকাঠামো, বিশুদ্ধ পানি, শৌচাগার, কমনরুম ইত্যাদি উন্নয়ন, ৭৫ হাজার টাকা সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের সহায়তা ব্যয় ৫০ হাজার টাকা প্রতিবন্ধী, বিশেষ চাহিদাসম্পূর্ণ শিক্ষার্থীদের ফ্যাসিলিটি উন্নয়ন। রায়কালী উচ্চবিদ্যালয়ে ওই অনুদানের বরাদ্দ দেয়া হয়।
রায়কালী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক বেলাল উদ্দিন মন্ডল বলেন, তিনি সরকারি বরাদ্দের টাকা আত্মসাৎ করেননি। এক খাতে টাকা অন্য খাতে ব্যয় করেছেন। সমন্বয় করতে গিয়ে ভুয়া বিল ভাউচার করতে হয়েছে। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি ঢাকায় অবস্থান করেন। সভাপতির সম্মতিতেই সরকারি বরাদ্দের খরচের টপশিটে তার স্বাক্ষর করেছেন।
জানতে চাইলে আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনজুরুল আলম বলেন, রায়কালী উচ্চবিদ্যালয়ে বরাদ্দের টাকায় কাজ হয়নি এমন অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।