রোববার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে ছয়টি রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে গঠিত জোট গণতন্ত্র মঞ্চ। শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক দফা দাবিতে আয়োজিত গণসমাবেশ থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু।
তিনি বলেন, আগামীকাল রোববার থেকে লড়াই শুরু করব আপনারা পাশে থাকবেন। আওয়ামী লীগের তাণ্ডব লীগ আইয়ুব-মোনায়েম সরকারকে হার মানিয়েছে। তারা বিরোধী দলের ওপর বারবার হামলা চালিয়েছে। এর প্রতিবাদে রোববার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করা হবে। গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা কিছুক্ষণ পর বসব।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, রাস্তায় রাস্তায় লাঠি নিয়ে বেড়াচ্ছে তারা (আওয়ামী লীগ)। পুলিশের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তারা শান্তিপূর্ণ সমাবেশে হামলা চালিয়েছে।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, শান্তিপূর্ণ সমাবেশে একদিকে পুলিশ, অন্যদিকে আওয়ামী লীগ কর্মীরা হামলা চালিয়েছে। পুলিশের সমাবেশে জলকামান দিয়ে হামলা চালিয়েছে। দখলদাররা নতুন মুক্তিযুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছে। ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। এ সরকারকারকে বিদায় দিতে হবে। আগামীকাল সকাল থেকে সবাইকে রাজপথে দেখতে চাই।
গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জুনায়েদ সাকি বলেন, আওয়ামী লীগ এখন নিজেরা ভীত, তাই তারা জনগণকে ভীত-সন্ত্রস্ত করতে বিরোধী দলের ওপর হামলা করছে। তারা পুলিশের সহযোগিতায় বিএনপির সমাবেশের প্রত্যেক পয়েন্ট দিয়ে হামলা করেছে। পুলিশ তাদের প্রতিহত করার কথা, কিন্তু তাদের সহযোগিতা করেছে। বিরোধী দলের ওপর রাবার বুলেট টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে। তারা নিজেরাই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে তারপর বিরোধী দলের ওপর চাপিয়ে দিয়ে হামলা-নির্যাতন চালাবে। বিএনপির সাহসী কর্মীরা আওয়ামী লীগকে পাল্টা ধাওয়া দিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। আগামীকাল থেকে শুরু হবে গণপ্রতিরোধের যাত্রা। আন্দোলনের মহাযাত্রা শুরু হবে। নৈতিক ও আদর্শিক শক্তিতে বলিয়ান হয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের কর্মীরা আন্দোলন করবে। পুরো ঘটনার তদন্ত চাই। জনরোষ থেকে বাঁচতে এ পথ থেকে পরিহার করুন।