মেসে সিনিয়র শিক্ষার্থীদের হাতে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবপ্রবি) এক ছাত্রীর র্যাগিংয়ের ঘটনায় একজনকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে ঘটনা খতিয়ে দেখতে অ্যান্টি র্যাগিং কমিটিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তরের উপ-পরিচালক ফারুক হোসেনের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
বহিষ্কারকৃত শিক্ষার্থী হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রোকাইয়া। আর ভুক্তভোগী ইতিহাস বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোমবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুনের সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ইতিহাস বিভাগের সেই শিক্ষার্থীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পরিসংখ্যান বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। একইসঙ্গে পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যান্টি র্যাগিং কমিটিকে আগামী ৫ কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন পেশ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা ড. মো. নাজমুল হোসেন বলেন, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর লিখিত অভিযোগের পরপরই এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রাথমিকভাবে একজনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্টি র্যাগিং কমিটি রয়েছে। তাদেরকে ঘটনা তদন্ত করে ৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী অন্যান্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী পাঁচ তলা বিশিষ্ট রব্বেজ টাওয়ারে অনেক ছাত্রী ভাড়া থাকেন। শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে প্রথম বর্ষের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে নিজেদের রুমে ডেকেন নেন সিনিয়র শিক্ষার্থীরা। এসময় শিমু রানী তালুকদার নিজেকে অসুস্থ দাবি করে যেতে রাজি হননি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে ছাত্রীনিবাসের ছাদে নিয়ে গেয়ে রাত ১১টা পর্যন্ত বিভিন্নভাবে র্যাগিং করান। এসময় সে গুরুত্ব অসুস্থ হয়ো পড়লে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে ঘটনা ধামাচাপা দিতে চেষ্টা করেছেন মেসের মালিক আবুল কালাম আজাদ। কিন্তু গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন।