দৈনিকশিক্ষাডটকম, ইবি : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) একজনের ছাত্রত্ব বাতিলসহ পাঁচ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। নবীন ছাত্রকে র্যাগিং ও মেডিক্যাল সেন্টারে ভাঙচুরের ঘটনায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ এম আলী হাসান স্বাক্ষরিত পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা যায়, মেডিক্যাল সেন্টার ভাঙচুরের ঘটনায় আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রেজওয়ান সিদ্দিকী কাব্যর ছাত্রত্ব বাতিল করা হয়েছে এবং র্যাগিংয়ের অভিযোগে হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের হিশাম নাজির শুভ, মিজানুর রহমান ইমন, শাহরিয়ার হাসান, শেখ সালা উদ্দিন সাকিব ও সাদমান সাকিব আকিবকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এর আগে ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের ৯ সেপ্টেম্বর হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২২-২৩ সেশনের এক নবীন শিক্ষার্থী লিখিতভাবে র্যাগিংয়ের অভিযোগ করেন তারই বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ৫ ছাত্রের বিরুদ্ধে। পরদিন ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি করে কর্তৃপক্ষ। তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ওই পাঁচজনকে প্রথম বর্ষের ২য় সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ। গত ১৯ ডিসেম্বর ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির ১২তম সভায় তাদেরকে সাময়িকভাবে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়।
এর আগে ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের ১০ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পরে মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষের লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ১৫ জুলাই কাব্যকে সাময়িক বহিষ্কার করে তদন্ত কমিটি করে কর্তৃপক্ষ। কমিটিতে ছাত্র-উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরিনকে আহ্বায়ক করা হয়। কমিটির প্রতিবেদনে সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত হওয়ায় আইন বিভাগের শিক্ষার্থী কাব্যকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ। এর আগে ৫ নভেম্বর তাকে সাক্ষাৎকারের জন্য ডেকেছিল কর্তৃপক্ষ। তবে তিনি উপস্থিত হননি। পরে ১৯ ডিসেম্বর ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির ১২তম সভায় তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়।
র্যাগিং ও মেডিক্যালে ভাঙচুরের ঘটনায় ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির সুপারিশক্রমে ২৩ জানুয়ারি চুড়ান্তভাবে একজনকে স্থায়ী ও ৬ শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ।
এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ এম আলী হাসান বলেন, ছাত্রশৃঙ্খলা কমিটির সুপারিশক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক তাদের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ এই ব্যবস্থা নিয়েছে।