বৈশ্বিক পাসপোর্ট সূচকে গত বছরের তুলনায় উন্নতি ঘটেছে বাংলাদেশের।যুক্তরাজ্যভিত্তিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ‘হ্যানলি অ্যান্ড পার্টনার্স’-এর তৈরি করা শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে ৩ ধাপ উন্নতির ফলে বর্তমানে বাংলাদেশের পাসপোর্টের অবস্থান ১০১ নম্বরে। গত বছর যা ছিল ১০৪ নম্বরে।
গতকাল মঙ্গলবার বিশ্বের ১৯৯টি দেশের পাসপোর্ট সূচক প্রকাশ করে হ্যানলি অ্যান্ড পার্টনার্স।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে মালদ্বীপ। সূচকে ৬১তম স্থানে থাকা মালদ্বীপের নাগরিকরা ৮৯টি দেশে ভিসামুক্ত অথবা অন-অ্যারাইভাল ভিসায় ভ্রমণ করতে পারেন। প্রতিবেশী দেশ ভারত ৮৫তম স্থানে রয়েছে। ভারতের নাগরিকরা বিশ্বের ৫৯টি দেশে ভিসা ছাড়া কিংবা অন অ্যারাইভাল ভিসায় ভ্রমণ করতে পারেন।
পাসপোর্ট দিয়ে কত দেশে ভিসা ছাড়া বা অন অ্যারাইভাল ভিসায় প্রবেশ করা যায়, ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অথরিটির তথ্যের ভিত্তিতে শক্তিশালী পাসপোর্টের এই সূচক তৈরি করে দ্য হ্যানলি অ্যান্ড পার্টনার্স। বিশ্বের ১৯৯টি দেশের পাসপোর্ট সূচকে কিছু কিছু দেশ যৌথ অবস্থান পাওয়ায় হ্যানলি মোট ১০৯টি অবস্থান নির্ধারণ করেছে। এবারের সূচকে বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে ১০১তম স্থানে রয়েছে লিবিয়া ও কসোভো।
হ্যানলি পাসপোর্ট সূচক-২০২৩ অনুযায়ী, বর্তমানে বাংলাদেশের পাসপোর্ট দিয়ে বিশ্বের ৪১টি দেশে ভিসা ছাড়া কিংবা অন অ্যারাইভাল ভিসায় ভ্রমণ করা যায়।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে নেপাল (১০৩তম), পাকিস্তান (১০৬তম) ও আফগানিস্তানের (১০৯তম) তুলনায় ভালো অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশের পাসপোর্ট।
বিশ্বে সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্ট জাপানের। সে দেশের নাগরিকরা ১৯৩টি দেশে ভিসা ছাড়াই যেতে পারেন। এরপরই আছে সিঙ্গাপুর ও দক্ষিণ কোরিয়া। এ দুই দেশের নাগরিকরা ভিসা ছাড়াই ১৯২টি দেশে ভ্রমণ করতে পারেন।