শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য নির্ধারিত বাসের ট্রিপ কমায় বেড়েছে চাপ। পর্যাপ্ত বাস থাকা সত্ত্বেও বাসের ট্রিপ কমানোর কারণে যাতায়াতে দুর্ভোগে পোহাতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।
সরেজমিন দেখা যায়, বাস ছাড়ার ১৫-২০ মিনিট আগেই সব সিট পূর্ণ হয়ে যায়। তারপর শুরু হয় দাঁড়িয়ে যাওয়ার পালা। বাসের সিটে জায়গা না থাকায় ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদেরও দাঁড়িয়ে যেতে দেখা যায়। এতে করে নানা ঝামেলা পোহাতে হয় শহরমুখী এসব শিক্ষার্থীদের।
একাধিক শিক্ষার্থী সূত্রে জানা যায়, আগে টিলাগড়ে সকাল ৮টা এবং ৯টায় দুইটা করে বাস ট্রিপ দিতো এখন ১টা করে বাস ট্রিপ দেয়। দুপুরেও এখন ১টা বাস ট্রিপ দেয়। নগরীর শাহী ঈদগাহতেও এখন দুটো বাসের পরিবর্তে একটি বাস চালু রয়েছে। এছাড়া নাইওরপুল রোডে শিক্ষার্থীদের চাপ থাকলেও সেখানে মাত্র একটি বাস চালু রয়েছে।
টিলাগড়ের যাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী জুনায়েদ সজিব বলেন, বাসে শিক্ষার্থীরা এমনিতেই ঘেঁষাঘেঁষি করে যাতায়াত করেন। এরমধ্যে বাসের ট্রিপ কমানো হয়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের ঝুলে ঝুলে যাতায়াত করতে হয়। সিটে জায়গা না পেয়ে অনেক মেয়েরাও দাঁড়িয়ে যাওয়া আসা করেন। বাস থাকা সত্ত্বেও ট্রিপ কমানো এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
তিনি আরও বলেন, এ সমস্যা সমাধানে আমরা সংশ্লিষ্টদের জানালেও একেকজন একেক কথা বলেন। কেউ বলেন বাস সংকট, কেউ বলেন জ্বালানি সংকট আবার কেউ কেউ বলেন চিঠি দেওয়ার জন্য যেন তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানাতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএসএস বিভাগের শিক্ষার্থী আনিকা সাদিয়া বলেন, শিক্ষার্থীরা অনেক গাদাগাদি করে নাইওরপুল রোড দিয়ে যাতায়াত করেন। একটি বাস এ রোডের জন্য পর্যাপ্ত নয়। এ রোডে বাসের সংখ্যা বাড়ালে শিক্ষার্থীরা যাতায়াতে অনেকটা স্বস্তি পেতো।
এ বিষয়ে পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, নগরীর পাঠানটুলায় রাস্তায় কাজ চলমান থাকায় ৪টা ১০ মিনিটের বাস গন্তব্যে গিয়ে ফিরে আসতে অনেক সময় লাগে। তাই ৫টা ১০ মিনিটে এসব বাস পুনরায় ট্রিপ দিতে পারে না। এ সমস্যা নিরসনে দুইজন নতুন ড্রাইভারের ব্যবস্থা করেছি যেন আগের বাসের অপেক্ষা না করে ক্যাম্পাস থেকেই দুইটা বাসের ট্রিপ চালু করতে পারি। এছাড়া জ্বালানি সমস্যা বাসের ট্রিপ কমানোর অন্যতম কারণ।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের এসব সমস্যা নিয়ে আমরা শীঘ্রই আলোচনায় বসব। যেসব রোডে যাত্রীদের চাপ বেশি সেসব রোডে ট্রিপ বাড়ানোর ব্যবস্থা করা হবে।