সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহপরান হলের ক্যানটিনে শরীরে ধাক্কা লাগা নিয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও হলের একটি কক্ষ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার বেলা দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ছাত্রলীগ, সাধারণ শিক্ষার্থী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সোমবার বেলা দেড়টার দিকে ছাত্রলীগ নেতা নাজমুল হুদা ওরফে শুভ শাহপরান হলের ক্যানটিন থেকে খাবারের পার্সেল নিয়ে দরজা দিয়ে বের হচ্ছিলেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক খলিলুর রহমানের সমর্থক ও ছাত্রলীগ কর্মী মো. শিপন হাসানের সঙ্গে নাজমুলের ধাক্কা লাগে। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে তাঁদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এ ঘটনার জেরে শিপন তাঁর পক্ষের নেতা-কর্মীদের নিয়ে এসে নাজমুল হুদার থাকার কক্ষে গিয়ে ভাঙচুর চালান। এতে দুই পক্ষ সংঘর্ষের জন্য পাল্টাপাল্টি অবস্থান নেয়। মুহূর্তেই হলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের লোকজন এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
হাতাহাতি ও কক্ষ ভাঙচুরের ঘটনার পর মো. শিপন হাসান বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেলে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। সেখান থেকে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের কোনো কমিটি নেই। তবে এখানে ছয়টি গ্রুপ সক্রিয় আছে। এর একটি গ্রুপের নেতৃত্বে আছেন ছাত্রলীগ নেতা নাজমুল হুদা। তিনি অর্থনীতি বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
নাজমুল হুদা বলেন, ‘ক্যানটিন থেকে খাবার নিয়ে বের হওয়ার পথে শিপন আমাকে ধাক্কা দেয়। সে আমার জুনিয়র। পরে শিপন ও তাদের গ্রুপের কর্মীরা আমার কক্ষে গিয়ে ভাঙচুর চালায়। তারা জানালার কাচ ও একটি সাউন্ড বক্স ভেঙে ফেলে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।’
এ বিষয়ে ছাত্রলীগ কর্মী মো. শিপন হাসান বলেন, ‘আমি ক্যানটিনে যাচ্ছিলাম। তখন তিনি (নাজমুল) আমাকে ধাক্কা দেন। এরপর আমাকে চড়ও মারেন, হামলা করেন। ঘটনার পর কক্ষ ভাঙচুর কে করেছে, কিংবা আদৌও হয়েছে কি না, তা জানি না। কারণ, আমি তখন চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে চলে এসেছি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো. কামরুজ্জামান চৌধুরী ও শাহপরান হলের প্রাধ্যক্ষ মিজানুর রহমান জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে। পুরো বিষয়টা জেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।