দৈনিক শিক্ষাডটকম, জামালপুর: জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার এসএসসির একটি কেন্দ্রে আসন সংকট থাকায় খোলা মাঠে শামিয়ানার নিচে দুই বিষয়ের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে না জানিয়ে দুদিন এই স্কুলের পরীক্ষার্থীরা নিজেদের স্কুলেই পরীক্ষা দিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে কলাবাধা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে।
জানা যায়, কলাবাধা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে চারটি বিদ্যালয়ের ৭০৪ জন পরীক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। এদের মধ্যে শামিয়ানার নিচে পরীক্ষা
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কলাবাধা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষা কেন্দ্রের চারপাশে দাঁড়িয়ে রয়েছেন পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা। মাঠের একপাশে শামিয়ানা করা হয়েছে। শামিয়ানার মধ্যে রয়েছে তিনটি কক্ষ। শামিয়ানার নিচে পরীক্ষা দিচ্ছেন ১২০ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ওই স্কুলেরই ৫৬ জন।
শামিয়ানায় পরীক্ষা দেওয়া কয়েক পরীক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, মাঠের ভেতরে শামিয়ানা টাঙিয়ে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। এই কেন্দ্রের একটু দূরে কলাবধা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ছিল, সেটাই পরীক্ষা কেন্দ্র করতে পারত। কিন্তু সেটা পরীক্ষা কেন্দ্র করা হয়নি। না করে এই কেন্দ্রের পাশের প্রাথমিক বিদ্যালয় পরীক্ষার কেন্দ্র হিসেবে নির্ধারণ করা হয়। আর সেখানে জায়গা না হওয়ায় শামিয়ানার নিচে পরীক্ষা দিতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। হঠাৎ যদি পরীক্ষার সময় বৃষ্টি নামে তাহলে কী হবে। এভাবে পরীক্ষা নেওয়াটা কখনোই ঠিক না।
কলাবাধা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব মো. মুনায়েম বলেন, ‘কলাবাধা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কলাবাধা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিচ্ছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনে আসন সংকট থাকায় শামিয়ানা করা হয়েছে। প্রথম পরীক্ষা কলাবধা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তাদের একাডেমি ভবনের পরীক্ষা হয়েছে। এই বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে কথা হয়েছে, তিনি একটা আবেদন দিতে বলেছেন। আমরা আজকেই আবেদন দেব।’
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আজাদুর রহমান ভুঁইয়া বলেন, ‘একই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী একই বিদ্যালয়ের পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষা দেওয়ার নিয়ম নেই। আর শামিয়ানার বিষয়টি আমি জানি না, আপনাদের কাছ থেকে মাত্র শুনলাম। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।’
এ বিষয়ে মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ফাইযুল ওয়াসীমা নাহাত বলেন, ‘আমাদের না জানিয়ে শামিয়ানা টাঙিয়ে পরীক্ষা নিয়েছে। ওই পরীক্ষা কেন্দ্রের পাশে একটি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে রয়েছে, সেই জায়গায় পরীক্ষা নেওয়ার কথা বলেছি।’
ফাইযুল ওয়াসীমা নাহাত আরও বলেন, ‘আমাদের না জানিয়ে এই কাজটি করা হয়েছে। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে আইন দেখে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’